নতুন প্রেম করার সময় সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বছর ঘুরতেই অনেক গার্লফ্রেন্ড খিটখিটে স্বভাবের হয়ে ওঠে। কিছুই যেন তার ভালো লাগে না। সারাক্ষণ মেজাজ গরম। বয়ফ্রেন্ডের মনটাও বুঝতে চান না।

সবকিছু নিয়েই কেবল অভিযোগ আর হুকুমের সুর। আপনার প্রিয় মানুষটি যদি এমন হয় ঘাবড়ানোর কারণ নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে কীভাবে? হ্যাঁ, তাকে স্বাভাবিক করে তোলার আছে ৭ উপায়।

আপনি শান্ত থাকুন

সবচেয়ে প্রথম ও বাস্তবসম্মত উপায়টি হচ্ছে এক পক্ষকে শান্ত থাকতে হবে। উলটো দিকের মানুষটি খিটমিট করলে আপনিও যদি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন যে, কেন তিনি এমন করছেন। আপনি শান্ত থাকলে আপনার গার্লফ্রেন্ড একা বেশিক্ষণ খিটিমিটি চালিয়ে যেতে পারবেন না।

সবকিছুকে মনের গভীরে নেবেন না

রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছুই বলেন থাকেন, সবকিছুকে সিরিয়াসলি নেবেন না। ছোটখাটো অনেক কিছু সম্পর্কে ঘটতে পারে, সেসব দেখেও না দেখার ভান করুন। পাত্তা দিলেই ঝামেলা।

সুযোগ বুঝে আলোচনা করুন

যখন তার মন ভালো থাকবে বা আপনারা অন্তরঙ্গ অবস্থায় থাকবেন, তখন তার সঙ্গে আলোচনা করুন। জানতে চান তার এমন আচরণের কারণ, আপনি যে কষ্ট পান সেটাও জানান। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিন যে, আপনি সর্বদা তার পাশে আছেন এবং যেকোনো সাহায্য করতে আপনি রাজি।

তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন

একটা মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় না, বরং প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়ে থাকে। কারণটা যদি জানতে নাও পারেন, চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার, সারপ্রাইজ দেয়ার। তিনি আপনার হবু বউ, আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাকে কীভাবে খুশি করতে হয়?

সম্ভব হলে তার চাপ কমান

যে কারণে মানুষটি এমন খিটখিটে স্বভাবের হয়ে উঠেছেন, সম্ভব হলে তার সেই চাপটি কমানোর ব্যবস্থা করুন। পারিবারিক হোক বা আর্থিক, অফিসের কাজ হোক বা বাড়ির কিংবা কোনো মানসিক কষ্ট- পাশে একজন মানুষ পেলে সবারই ভালো লাগে।

তার প্রশংসা করুন, ভালোবাসা দেখান

প্রশংসা ও ভালোবাসা এমন দুটি জিনিস, যা যেকোনো মানুষের মন নরম করতে বাধ্য। সঙ্গী খিটখিটে স্বভাবের হয়ে গেলে আপনি বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিননা।

আপনি পাল্টা খিটমিট করবেন না মোটেও

তিনি খিটমিট করছেন বলে আপনি পাল্টা কথা শোনাতে যাবেন না। এ কথাটি অবশ্যই মনে রাখুন। এতে সম্পর্ক চরম খারাপ হয়ে যায়।