খালেদা জিয়া চাইলে সংসদ নির্বাচন হবে: নাসিম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চাইলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তবে তা ২০১৯ সালের আগে নয় বলেও জানান তিনি।

শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন উপলক্ষে শহরের বাকালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ১৪ দলের এই মুখপাত্র।

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তারা পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। তাদের ডাকা হরতাল অবরোধে সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি।’

বেগম জিয়ার সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘দেশে এখন জঙ্গী বাংলা ভাই নেই। আছে বেগম খালেদা জিয়া। তাকে উৎখাত করতে পারলেই দেশ থেকে জঙ্গীদের উৎখাত করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সংলাপ প্রত্যাখান করেছিলেন তারাই এখন সংলাপ চাইছেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। ব্যাংকক ও থাইল্যান্ডের মতো সামরিক শাসন বিরাজ করত।’

মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার পাশে গাছ কেটেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। নির্বাচন না হলে আজকের মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করা সম্ভব হতো না।’

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের উন্নয়নের ধারাকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এ সরকারের সময়ে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি সব স্কুলে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিানমূলে বই দেয়া শুরু হয়েছে। গ্রামে বিদ্যুতের চাহিতা মেটাতে উদপাদন বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দারিদ্র দূরীকরণে এ সরকার অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।’

সবশেষে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য একটি বাস, একটি অ্যাম্বুলেন্স, প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতির জন্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, অ্যাডভোকেট মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ, এস এম জগলুল হায়দার, রিফাত আমীন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহম্মেদুল কবীর, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ূয়া, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ।

এর আগে, মন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ফিতা কেটে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে তিনি জেলা আ.লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন।



মন্তব্য চালু নেই