তোফায়েলের প্রতি খোকা

খালেদা জিয়ার পা ছুঁয়ে সালাম করুন

বর্তমান সরকারের বানিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পা ছুঁয়ে সালাম করতে বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা।
তোফায়েলের উদ্দেশে খোকা বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনাকে বিশ্বাস করে না। সে জানে আপনি যে কোনো সময় তাকে ধাক্কা দিতে পারেন। খালেদা জিয়া যদি আন্দোলন না করতেন তাহলে আপনি, আমির হোসেন আমু ও মোহাম্মদ নাসিমরা কখনোই মন্ত্রী হতে পারতেন না। তাই মন্ত্রী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পা ছুঁয়ে সালাম করুন।’
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউটে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ঢাকা মহানগরের ৬ষ্ঠ সম্মেলন ও জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানকে নিয়ে সংসদে তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে খোকা বলেন, ‘তোফায়েল আপনি তিন ফাল দিয়ে লাফিয়ে উঠেন। তিনি নাকি এতই ক্ষমতাধর ছিলেন যে, জিয়াউর রহমান তাকে স্যার স্যার বলতে বলতে অস্থির হয়ে যেতেন। ৩২ নম্বরে যখন শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হয়ে পড়ে ছিলেন, তখন আপনি কোথায় ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আপনি রক্ষিবাহিনীর পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। দুষ্টু লোকেরা বলেন, রক্ষীবাহিনী যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা ছিল। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে নিজের অবস্থান পরিস্কার করার জন্য তারেক রহমানের বক্তব্য খণ্ডন করতে না পেরে যাচ্ছেতাই বলছেন।’
তিনি আবারও জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক’ ও ‘প্রথম ঘোষিত রাষ্ট্রপতি’ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম ঘোষিত রাষ্ট্রপতি। সেটা একদিন হোক বা এক ঘণ্টার জন্য হোক। এটাই ইতিহাসের উপাদান। শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে সংবিধানে সংযোজন করলেই হবে না, জাতির ক্রান্তিকালে কালুর ঘাট কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানই দেশি বিদেশিদের কাছে সাহায্য ও অস্ত্র চেয়েছিলেন।’
তিনি তোফায়েলের উদ্দেশে আবারও বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন যখন গণফোরাম করেন, তখন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাউকে খুঁজে পান নাই। তখন ঐ দলের নেতা মোস্তাফা মহসিন মন্টু আমাকে বলেছিলেন, সাধারন সম্পাদক আসছেন, তিনি তোফায়েল আহমেদ।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে কথা বলবেন আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো তা হবে না। শেখ হাসিনাকে তোষামোদ করতে চাইলে করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ খুলে দেন, অন্যথায় যে নির্মম পরিণতি হবে তা আমরা চাই না।’
দলের অপর ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘তারেক রহমান ইতিহাসের বাইরে কোনো কথা বলেননি। তিনি বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে কথা বলেছেন। এতে সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে। তারেক রহমান যে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন তাতে শেখ হাসিনাসহ সকলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই তারা আবোল তাবোল কথা বলছেন।’
‘শেখ মুজিব, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতারা নীতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই