যাত্রাবাড়ীতে গাড়িতে আগুন দিয়ে যাত্রী হত্যা
খালেদাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়িতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভুইয়ার আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ এটি দাখিল করে। আদালতের সাধারণ শাখার (জিআর) প্রধান উপ-পরিদর্শক (এসআই) উজির উদ্দিন অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন। পরে তা আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হয়। আদালত অভিযোগপত্রটি দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করে মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবর প্রেরণ করেন।
এর আগে, বুধবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশির উদ্দিন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ শাখায় (জিআর) তা জামা দেন।
মামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এতে খালেদা জিয়াসহ ৩১ জনকে পলাতক দেখান হয়েছে। রুহুল কবির রিজভীসহ সাতজন জেলহাজতে আছেন। আর সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে।
অভিযুক্তরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেত্রা হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ ৩৮ জন।
২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামে এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় দায়ের করা মামলায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলায় সোহাগ ও লিটন নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে কারা কারা জড়িত, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন বলে পুলিশ জানায়।
মন্তব্য চালু নেই