বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ
খালেদার মামলার শুনানি পিছিয়েছে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রজ্ঞাপন ছাড়া বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানি আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়।
পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রিটের দ্বিধাবিভক্ত রায়ের সার্টিফাইড কপি সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট অফিসকে খালেদার আইনজীবীদের কাছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মাদ আলী, জয়নাল আবেদিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মাদ আলী আদালতকে বলেন, ‘দ্বিধা বিভক্ত রায়ের সার্টিফাইড কপি আমরা হাতে পাইনি। আমাদের এক সপ্তাহের সময় দিন।’
তখন আদালত দুই দিনের সময় মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকালে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন মামলা পরিচালনার জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করেন।
এর আগে এ মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। এ কারণে মামলাটি শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রিটে বিভক্ত রায় দেন আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিভক্ত রায় দেয়া হয়।
রায়ে প্রজ্ঞাপন ছাড়া বিচারক নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি ও আগামী তিনমাসের জন্য এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। অপরদিকে জুনিয়র বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দ রিটটি খারিজ করে দেন।
মন্তব্য চালু নেই