খালেদার বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি সুরঞ্জিতের
‘সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে আগামী রোববারের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা করার দাবি’ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘সরকারি চাকরি এবং রাজনীতি একই সঙ্গে চলতে পারে না। খবর এসেছে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ২০ জন প্রশাসনের কর্মকর্তা সরকার উৎখাতের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কাজেই ওইসব কর্মকর্তারা সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেছেন। তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া তাদের উৎসাহ দেয়ায় তিনিও একই অপরাধে অপরাধী। তাই আগামী রোববারের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে প্রধান অসামি করে মামলা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এসব না করে আগে ঘর সামলান। ছাত্রদল, শ্রমিকদলসহ দলের সকল পর্যায়ে বিভক্তি চরমে পৌঁছেছে। তাই ঘর সামলাবেন নাকি সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন। এই বিভাজিত দল নিয়ে আর যাই হোক রাজনীতি হয় না।’
তিনি বলেন, ‘সামনে দুটো মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে। আর এতেই বিচলিত হয়ে গেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তাই আন্দোলনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকারকে সতর্ক থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবির প্রেক্ষিতে এই নেতা বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন চাওয়ার সাংবিধানিকতা রয়েছে। তাই বলে মাসে মাসে মধ্যবর্তী নির্বাচন চাওয়ার কোনো সাংবিধানিকতা নেই। যেখানে সারা পৃথিবী এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারকে মেনে নিয়েছে, সেখানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সাংবিধানিকতা নেই।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে সাবেক এ রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন না। সময় মতো ঠিকই ভোট হবে।’
দুর্নীতির বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালের দিকে এদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হতো। কিছুদিন আগে ১৬ নম্বর অবস্থানে ছিল। এখন ১৪ নম্বরে এসেছে। আর এ নিয়েই সমালোচনার শেষ নেই। একটা দল এক বেমালুম অস্বীকার করছে। অন্য একটি দল এটিকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করছে। বিশেষ করে বিরোধী দল এ নিয়ে উল্লাস করছে। এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতি কমানোর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’
চলমান রাজনীতি ও ঢাকার সাবেক মেয়র মো. হানিফের স্মরণে আয়োজিত এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমি।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দীন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য চালু নেই