খালেদার বিরুদ্ধে মামলা অমার্জনীয় অপরাধ

শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়েরর করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া রাজনীতির মাঠে থাকলে ক্ষমতাসীনদের টনক নড়ে যায়। আর তাই তাকে রাজনীতি থেকে সরাতেই এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মামলাবাজ সরকার। এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির আয়োজনে রকডেল তুরি ফাংশন সেন্টারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ড.জহিরুল হক মোল্লা।

ড. জহিরুল হক মোল্লা বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়াকে অমার্জনীয় অপরাধ। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কথা বলেছেন তাতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কিছুই নেই, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কয়জন শহীদ হয়েছিল তার সঠিক হিসেব না করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার যে মামলা দেয়া হয়েছে তা অমার্জনীয় এবং কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

সভাপতির বক্তব্যে মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বলেননি। তার বক্তব্যে দেশদ্রোহিতার কোনো উপাদান নেই। সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি করতে দিতে চায় না, তাই মিথ্যা মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক মামলা হতে পারে; কিন্তু একজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা অপমানজনক ও অসম্মানজনক।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীকে সরকার ভয় পায়। তাই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা জনগণ মেনে নেবে না। যত অত্যাচার করুন না কেন, জনগণের বিচার হবে শেষ বিচার। মানুষ জেগে উঠলে এ সরকারের পতন অনিবার্য।’

পবিত্র কোরআন তেলোওয়াতে মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের এবং বাংলাদেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বপ্নপুরুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান এবং আরাফাত রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

এ ছাড়া আরো বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মো. নাসিম উদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবকদল অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক এ এন এম মাসুম, জাসাস অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি আবদুস সামাদ শিবলু, নিউ সাউথ ওয়েলস বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মৌয়াইমেন খান মিশু, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবদুল্যাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক জেবেল হক জাবেদ, যুবদল অস্ট্রেলিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, নিউ সাউথ ওয়েলস স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি খায়রুল কবির পিন্ট, সাধারণ সম্পাদক সাইমুন বিন শামস।

বিএনপির নেতারা মধ্যে আর ও উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, রিপন মিয়া, শফিকুর রহমান ভূইয়া, মো. আবদুল ওয়াদুদ, মো. মিজানুর রহমান, মো. আনিসুর রহমান, এম এ কাশেম, মো. রাসেল মিয়া, আসিফ ইকবাল, মোহাম্মদ ইসলাম, আসিকুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, সিরাজুল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম, আবদুল মোতালেব, সাইয়েদ রহমান, মো. কামাল হোসেন, মাসুদ রানা, মো. লিটন, মো. সুমন, মো. আলমগীর হোসন, মির্জা সিদ্দিক, মো. রাসেল, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন যুবদল অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আবু সায়েম।



মন্তব্য চালু নেই