‘খালেদার বিরুদ্ধে কেন মামলা করা যাবে না’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জিহাদের অপমৃতুর জন্য যদি ওয়াসার এমডি ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় তাহলে চলন্ত বাসে ঘুমন্ত যাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কেন হত্যা মামলা করা যাবে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্রাব) ২০১৪ বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিক–অরাজনৈতিক যে কারণেই অপরাধ হোক না কেন অপরাধ অপরাধই। রাজনৈতিক কারণে দেশে অগ্নিসংযোগ, নাশকতাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে। শহীদ মিনার ভাঙা, পীরের দরগায় বোমা মারা, মন্দির ভাঙা, শিক্ষিকা হত্যা এসব অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এসব ঘটনার উস্কানি দাতার দায়িত্ব খালেদা জিয়া এড়াতে পারেন না।’
ইনু বলেন, ‘গণমাধ্যম ও পুলিশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সহযোদ্ধা। তারা যৌথভাবে কাজ করলে গণতন্ত্র অর্থবহ ও নিখুঁত হতে থাকে। সমাজ অপরাধমুক্ত ও নিরাপদ থাকে।’
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘মিডিয়াকে উপেক্ষা করে কার্যকরভাবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে দায়িত্ব পালন অসম্ভব। তাই পুলিশের চিন্তা চেতনায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন তারা সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করায় বিশ্বাসী।’
ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের আমরা বিরোধী পক্ষ মনে করি না। তবে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা এমনভাবে কাজ করেন, তাদের কারণে মাঝে মাঝে আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। জিহাদ উদ্ধারেও তাদের সরিয়ে আমাদের সামনে যেতে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘নিরীহ মানুষকে জ্বালিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র কায়েম করা যাবে না। দেশের শান্তি বজায় রাখতে এবং গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই।’
এসময় ক্রাইম রিপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য পাঁচজন সাংবাদিকের নামে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (ক্রাব) সভাপতি আখতারুজ্জামান লাভলুর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়নের সভাপতি শওকত হোসেন বাদশা প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই