খালেদার ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে : আইন কি বলছে

গোয়েন্দা সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্ত সংস্থার মতো সরকারি সংস্থাগুলোকে আড়িপাতার শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। — আইনজীবী মনজিল মোরশেদ

বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কথিত কিছু ফোনালাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।

প্রায় বছর খানেক আগের একটি তারিখে ইউটিউবে আপলোড করা এই ফোনালাপের অডিও সরকারের একজন মন্ত্রীও তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন।

প্রায় চার বছর আগে বিএনপির একটি সমাবেশকে ঘিরে কয়েক জন নেতার সাথে মিসেস জিয়ার ফোনালাপের অডিও টেপটি নিয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে বলে কোন কোন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

বাংলাদেশে এর আগেও বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনীতিক এবং তারকাদের ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়।

ফোনে আড়ি পাতা এবং ফোনালাপ প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশের আইনে কি বলা আছে জানতে চাইলে আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, “২০০১ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন করা হয় যেটি ২০১০ সালে সংশোধন করা হয়। এ আইনে ফোনে আড়ি পাতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। আবার কতিপয় ক্ষেত্রে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে”।

তিনি বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্ত সংস্থার মতো সরকারি সংস্থাগুলোকে আড়িপাতার শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে”।

তবে এদের বাইরে যে কোন ব্যক্তির কথোপকথন আড়ি পেতে রেকর্ড করলে বা প্রচার করলে সেক্ষেত্রে দু বছর সাজা ও পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে বলেন জানান মিস্টার মোরশেদ।

সরকারি সংস্থাগুলোকে কি কোন অনুমতি নিতে হয় আড়ি পাতার জন্য ?কাদের কাছে অনুমতি নিতে হয় তাদের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জন শৃঙ্খলা এসব বিষয়ে কোন কর্মকর্তাকে সরকারের ক্ষমতা দিতে হয়।

ফোনালাপগুলো যে ফাঁস হচ্ছে সেগুলো তাহলে কারা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আড়ি পাততে পারে ও কথা রেকর্ড করতে পারে।

আইনগত ভাবে তাদের ক্ষমতা দেয়া আছে। যদিও আইনে জবাবদিহিতার বিষয়টি ততটা স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে কেউ যদি মনে করেন এ ধরণের ঘটনার জন্য তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সেক্ষেত্রে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। বিবিসি

খালেদা জিয়ার যে ৫ অডিও নিয়ে তোলপাড়

খালেদার মোবাইল কথোপকথন নিয়ে মন্ত্রিসভায় তোলপাড়



মন্তব্য চালু নেই