‘খালেদার প্রস্তাব ভালো, তবে আলোচনা ১৮’র শেষে’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিরোধীদলের নেতা আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, “তিনি ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি খারাপ সময়ে ভালো কথা বলেছেন। ২০১৫ সালে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।”

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “বিরোধীদলের নেত্রী হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলন করলেন। অনেকে কড়া মন্তব্য করেছেন। আমি কড়া মন্তব্য করব না। তিনি নির্বাচনী আইন সংশোধন, নির্দলীয় সরকার, আলোচনার কথা বলেছেন। ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু এ নিয়ে এখন কোনো আলোচনা হবে না। আপনাকে অপেক্ষা করতেই হবে।”

সুরঞ্জিত বলেন, “আপনি যখন সাত দফা দিয়েছেন। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। আপনাকে চার বছর অপেক্ষা করতেই হবে। চার বছর বেশি সময় না। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।”

খালেদাকে উদ্দেশ্য করে সুরঞ্জিত বলেন, “এখন আপনি বলেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে আপনি সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, উগ্র জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্রম রাখবেন না, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আপনার অবস্থান কি?”

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চার বছর পর এ নিয়ে আলোচনা হবে। আমি মনে করি, এ সময়ে বিএনপি এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবে।”

সুরঞ্জিত সেন বলেন, “৫ জানুয়ারিকে আমরা গণতন্ত্ররক্ষা দিবস মনে করি। যথা সময়ে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ হবে। আপনারা তো অনেক চেষ্টা করেছেন। বিদেশীরা ৫ জানুয়ারি নির্বাচন মেনে নিয়েছে। ৫ জানুয়ারি সমাবেশ নিয়ে ঝামেলা কইরেন না। সভা নিয়ে অশান্তি কইরেন না। আওয়ামী লীগের এই সমাবেশ বানচাল করার কারো সাধ্য নাই।”

তিনি বলেন, “আপনারাও আবেদন করেন। আপনারাও সভা-সমাবেশ করেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে হবে।”

বিশেষ অতিথি হাজি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ক্ষমা না চাইলে বিএনপিকে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। মাঠে যা হওয়ার হবে। সেটা আমরা দেখব। কিন্তু ক্ষমা না চাইলে কোনো সমঝোতাও হবে না।”

বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উপদেষ্টা সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন আব্দুল হাই কানু, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই