তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সম্প্রতি শাজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যদি হত্যা মামলা হতে পারে, সেখানে সিএনজিতে অগ্নিসংযোগ করে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় বেগম খালেদার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না। তার বিরুদ্ধেও মামলা হতে পারে।’

মঙ্গলবার সকালে তথ্য অধিপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদকে হালাল করে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বিপদগ্রস্ত করার ভুল রাজনীতি বেগম খালেদা জিয়া আবারও দেশ ও জনগণের উপর চাপাতে চাচ্ছে। কিন্তু সরকার জঙ্গিবাদের উসকানিদাতাকে ছাড় দেবে না।’

বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জনগণকে বলি দেয়ায় বিএনপি-জামাতের ভুল রাজনীতি সন্ত্রাস, সহিংসতা, নাশকতা, অন্তর্ঘাত, অশান্তির রাজনীতিকে সরকার প্রশ্রয় দেবে না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’

অবরোধ সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘ নির্বাচনের ১ বছরের মাথায় ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে গুজব ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছিল। ঢাকায় ব্যাপক গোলযোগ করে ক্ষান্ত হয়নি। সরকারের পতন হয়ে যাবে ভেবে ব্যাপক সন্ত্রাস, অন্তর্ঘাত-নাশকতার প্রস্ততি গ্রহণ করে বিএনপি- জামায়াত। প্রকাশ্যে অশান্তির উস্কানি দিতে থাকে তারা।’

মন্ত্রী বলেন, দু’দিন আগে থেকেই বোমাবাজি ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা শুরু করা হয়। এভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করা গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষকে অশান্তির পথে ঠেলে দেবে- এ ধরনের উস্কানিদাতাকে আমরা ছাড় দেবো না।’

হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করে বলেন, ‘সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনার আন্তরিকতার প্রতি সামান্যতম সম্মান না দেখিয়ে বিএনপি সহিংস রাজনীতির পথে দেশকে সংকটে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।’

৫ জানুয়ারি নির্বাচন তুলনামূলকভাবে কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ভোটারের কম অংশগ্রহণ হয়েছে এটা স্বীকার করে তথ্য মন্ত্রী জানান, ‘এ জন্য সরকার, নির্বাচন কমিশন, ১৪দল বা মজাজোট দায়ী নয়। বিএনপি-জামাত হেফাজত জোটের নির্বাচন বর্জন, নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টাই দায়ী।’

বেগম খালেদা জিয়ার ৭দফা দাবির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘৭ দফায় অতীতের ভুল স্বীকার করেননি,অতীতের ভুল রাজনীতির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাননি। বরং জ্ঞানপাপীর মতই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন। যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে দোস্তির রাজনীতি ত্যাগের কোন কথা বলেননি। আলোচনার নামে বেগম জিয়া যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গিদের রাজনীতিকে হালাল করার ফাঁদ পেতেছেন।’