খালেদার কার্যালয়ে অনেকেই অসুস্থ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকারীদের অনেকেরই দিনদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। টানা ৪৮ দিন কার্যালয়ে অবস্থান করায় এখন তারা সুস্থ বোধ করছেন না। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেখানে অবস্থান করা দু’জন স্টাফ।
শুক্রবার তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন চিকিৎসক। সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সুশীল চন্দ্র বাছার বিএনপি প্রধানের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর তিনি জানান, কার্যালয়ে অবস্থানরত দু’জন অফিস স্টাফের রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন ল্যাবে পরীক্ষার পর জানতে পারবো তারা কি কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বা বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা কোন পর্যায়ে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যমে শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, কার্যালয়ে অবস্থানকারী অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ।
তিনি জানান, দোতলা একটি বাড়িতে স্বল্প পরিসরে প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় অবস্থান করার পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ক কর্নেল (অব.) আবদুল মজিদ শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করছেন না।
শুক্রবার মারুফ কামাল এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে জানান, তিনি নিজের শরীরে বেশ ব্যথা অনুভব করছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির ঠিক দু’দিন আগে অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পুলিশ বেষ্টনীতে নিজ কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এ সময় তার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়ক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও কিছু অফিস স্টাফ, কর্মকর্তা-কর্মচারীও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ৫ জানুয়ারি কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় তা পারেননি খালেদা জিয়া। পরে কার্যালয়ের ভেতর থেকেই অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন তিনি। তখন থেকে বিএনপি প্রধানের সঙ্গে বাকিরাও কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হলেও বিএনপি প্রধান কার্যালয়ের বাইরে যাননি।
এদিকে নিজের কার্যালয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়তই পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য গুলশান কার্যালয়ে যান অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি অ্যান্ড হ্যাপাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া। রাত পৌনে ১২টার দিকে কার্যালয় থেকে বের হন চিকিৎসক মজিবুর রহমান। তিনি জানান, বিএনপি প্রধান সুস্থ আছেন।
মন্তব্য চালু নেই