খালেদাকে গ্রেফতার জনগণের দাবি : হানিফ

খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারে যে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চতর আদালত তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথভাবে পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। খালেদা গ্রেফতার করা জনগণের দাবি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা হয়।

‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার পরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। শুধু আপনারা তাকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারের করার দাবি করে যাচ্ছেন। তাহলে কি এটা শুধু দাবি করার জন্য দাবি’ এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো শুধু বলার দাবি নয়। এটা জনগণের দাবি। ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। এখন দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আমার বিশ্বাস উচ্চতর আদালতের এই নির্দেশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথভাবে পালন করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ হত্যার জন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, একজন হত্যাকারীর বিরুদ্ধে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সে ধরনের ব্যবস্থাই নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হোক, কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এরা এ ধরনের কর্মকা- আর করতে না পারে।’
পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে রাজনৈতিক দল মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার মতো কর্মকা- করে না বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।

সহিংসতা কবে নাগাদ কমে আসবে কিংবা সরকার কবে নাগাদা ওভারকাম হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘পৃথিবীতে দেখা যায়, কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকে সমাজের কিছু খারাপ লোক, গুটিকয়েক লোক। কিন্তু যখন একটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত হয়ে যায়, তখন তা নিয়ন্ত্রণে বা দমনে সরকারের কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। এ কারণে এখনও হয়তো পুরোপুরি সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে এই কর্মকা- অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। জনগণ যেভাবে পাশে আছে, এটা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই এটা বন্ধ হবে।’

সরকারের ওপর চাপের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ওপর কিসের চাপ? কেন চাপ থাকবে? আজ সারা বিশ্ব বলছে, বিএনপি-জামায়াত যে মানুষকে হত্যা করছে। এটা সন্ত্রাসী কর্মকা-। এটা বন্ধ করার জন্যই তো বলছে। সেটা তো সরকারের ওপর চাপ নয়।’

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামাল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহিদ সেরনিয়াবাত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা অ্যাডভোকেট আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই