খাবার এলো, চলেও গেলো

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানরত নেতা-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ভ্যানভর্তি খাবার আনা হলেও ভেতরে নিতে দেয়নি পুলিশ। পরে সেই খাবার নিয়ে ভ্যানটি একই পথে ফিরে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর আড়ইটার দিকে কার্যালয়ে লোকজনের জন্য ভ্যানভর্তি খাবার এলে তা আটকে দেয় পুলিশ। বাইরে থেকে আনা খাবার কার্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে গত বুধবার থেকে এক ধরনের ‘নিষেধাজ্ঞা’ থাকলেও খালেদা জিয়ার জন্য আনা খাবার প্রবেশে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছেনা।

কার্যালয়ে অবস্থান করা নেতা-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আনা খাবার ওই রাত থেকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিদিন নিয়ম করে খাবার আসে এবং যথারীতি পুলিশের বাধা পেয়ে চলে যায়।

তবে শুক্রবার কার্যালয়ে অবস্থান করা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের বাসা থেকে অল্প পরিমানে আনা খাবার প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। খাবার প্রবেশে বাধা দেওয়ার পর কার্যালয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বল্প পরিসরে রান্নার আয়োজন হচ্ছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আনা খাবার প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপি প্রধানের সঙ্গে কার্যালয়ে আছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। এছাড়াও রয়েছে অফিস স্টাফ, কর্মকর্তা-কর্মচারী।

৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তির দু’দিন আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ৩ জানুয়ারি রাত থেকে এখনও কার্যালয়েই অবস্থান করছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রতিদিনই তার ভাইয়ের বাসা থেকে তার জন্য খাবার আসে। আর কার্যালয়ে অবস্থানরত অন্যদের, দায়িত্বরত গণমাধ্যম কর্মী, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী (সিএসএফ) এবং প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের জন্য বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসা হতো।



মন্তব্য চালু নেই