খাওয়া না কমিয়েও মেদ ঝরাতে…

সচেতন না থাকায় শরীরে জমেছে বাড়তি মেদ। বিষয়টা যখন টের পেলেন তখন মাথায় চেপে গেল চিন্তার পাহাড়। এবার শারীরিক অবস্থা দুদিনেই নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যস্তও হয়ে পড়লেন। মেদ কমাতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে অনেকের মতো আপনিও ডেকে আনলেন নতুন সমস্যা। অথচ জানেন কি, খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক রেখেও শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো সম্ভব। আর তাই-

অট্টহাসি

দিনে দশ মিনিট জোরে হাসলে মেদ কমে। সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তপ্রবাহেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। গবেষকদের মতে, প্রাপ্তবয়স্করা দিনে সাধারণত আটবারের মতো হাসেন। সুস্থ থাকতে সেই হাসির সঙ্গে যোগ করতে পারেন দশ মিনিটের অট্টহাসি।

সাহায্য ছাড়াই নিজের কাজ

ঘরের টুকিটাকি কাজ গুলো নিজেই করে নিন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের সাধারণ কাজ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা, বিছানার চাদর বদলানো- এ ধরণের কাজগুলো করলেও মেদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ হয়, এমনকি মেদও কমানো যায়।

মসলাযুক্ত খাবার পরিহার

খাবারে যত কম মসলা থাকবে ততই ভালো। মসলায় যে অ্যালকালয়েড থাকে তা মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই মসলাযুক্ত খাবার যত ভালোই লাগুক, মেদ কমাতে চাইলে কম মসলাযুক্ত খাবারই উত্তম। তবে মরিচ ও দারুচিনি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেদ কমায়।

গাড়িতে চড়ুন

এসি লাগানো গাড়িতে বসে কর্মস্থলে যেতে খুব আরাম, তবে তাতে মেদ বাড়ায় ভীষণ আকারে। অপরদিকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতে ধকল সহ্য করতে হয়। এতে দেহের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। দৌড়ে বাস, ট্রেন ধরার মতো প্রাত্যহিক ধকল দিনে ৩০ মিনিট সহ্য করলে ২৭০ ক্যালরি পর্যন্ত মেদ ক্ষয় হয়।

ভৌতিক ছবি দেখুন

ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, ভৌতিক ছবি দেখলে মেদ কমে। একটা ভৌতিক ছবি দেখলে ১৩৩ ক্যালরি পর্যন্ত মেদ ধ্বংস হয়। কারণ ভীতিকর দৃশ্য দেখার সময় শরীর থেকে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরন বেড়ে যায়। এ প্রক্রিয়ায় চর্বিও গলে যায়।

যৌনমিলন

ডায়েট না করে মেদ কমানোর সবচেয়ে ভালো একটি উপায় যৌনমিলন। একবারের পরিপূর্ণ যৌনমিলনে ৮০ থেকে ৩৫০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হতে পারে। এক মিনিট চুমু খেলেও শরীর ঝরে ২০ ক্যালরির মতো চর্বি।



মন্তব্য চালু নেই