ক্ষমা পেতে ও মর্যাদা লাভে তাওবার তাৎপর্য
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে কোনো বান্দা যখন অন্যায় করার পর তা থেকে ফিরে আসতে তারই নিকট আবেদন করে। কারণ হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তার প্রতি রাগান্বিত হন। ব্যক্তিভেদে তাওবার অবস্থাও পরিবর্তন হয়। আল্লাহর নিকট ক্ষমা পেত এবং মর্যাদা লাভে সংক্ষেপে তাওবার অবস্থা তুলে ধরা হলো-
আল্লামা আলুসি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তাওবাকারীদের বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে তাওবার মর্মার্থ বা ব্যাখ্যায়ও রদবদল হয়ে থাকে।
সাধারণ মুসলমানের তাওবা-
ক. অন্যায়ের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া;
খ. ভবিষ্যতে এমন অন্যায় না করার সংকল্প গ্রহণ করা;
গ. কারো প্রতি জুলুম অত্যাচার হয়ে থাকলে তার প্রতিকার তথা ক্ষতিপূরণ দেয়া;
ঘ. ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব না হলে অন্তত ক্ষতিপূরণের নিয়ত বা সদিচ্ছা পোষণ করা।
বিশেষ ব্যক্তির তাওবা-
ক. যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা;
খ. মন থেকে যাবতীয় কু-চিন্তা দূর করা;
গ., আমলের সকল ত্রুটি বিচ্যুতি বর্জন করা।
মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির তাওবা-
ক. তাঁদের অবস্থার উন্নতির সাধনায় তাওবা করা;
খ. তাঁদের শান ও মাকাম তথা মান-মর্যাদার উন্নয়নে তাওবার মাধ্যমে চেষ্টা করা।
কেননা বাইতুল্লাহ নির্মাণকালে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালাম আল্লাহর নিকট তাওবা করে বলেছিলেন- ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে তাওবা করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের তাওবা কবুল করুন। যা তাদের মর্যাদা বুলন্দের দোয়াও বটে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবস্থা ও অবস্থানভেদে সঠিক তাওবার করার, তাওবার মাধ্যমে মর্যাদা বৃদ্ধির তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই