ক্লু লেস মার্ডার, ৫ বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন !

রংপুরের বদরগঞ্জ থানার রমজান আলী নামের এক ব্যক্তির ক্লু লেস হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সন্দিগ্ধ এক আসামীর রিমান্ড পেয়েছে পিবিআই- রংপুর্। পিবিআই, রংপুর এর পুলিশ পরিদর্শক জনাব এটিএম গোলাম রসুল এর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে গত রোববার রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে।

রিমান্ডকৃত সন্দিগ্ধ আসামী বদরগঞ্জ থানাধীন আকন্দপাড়া গ্রামের মৃত ছয়ের উদ্দিনের পুত্র মো: ফয়জার রহমান @ফয়েজ ভুরিয়া।

মামলা সুত্রে এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই রংপুর এর পুলিশ পরিদর্শক এটিএম গোলাম রসুল এর মাধ্যমে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ই জুন বদরগঞ্জ থানার মৃত সাখাওয়াত হোসেন এর পুত্র রমজান আলী টিভির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে পরের দিন সকালে তার বাড়ির পাশে একটি জমিতে রমজান আলীর ক্ষত বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

বাড়ি থেকে বের হবার সময় তার সাথে লাখ দেড়েক টাকাও সাথে ছিল বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে।

ঘটনার কয়েকদিন পর অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং – ১৩(০৬)১৩) দায়ের করে নিহত রমজানের স্ত্রী রহিমা বেগম।

পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক এটিএম গোলাম রসুল জানান , ইতোপূর্বে মামলাটির ৫ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। কেউই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে।

পরবর্তীতে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) , রংপুর কে নির্দেশ দেয়!

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই রংপুর এর পুলিশ পরিদর্শক এটিএম গোলাম রসুল জানান , যেদিন রমজান খুন হয় সেদিন রিমান্ডকৃত আসামি ফয়েজ তার অল্প দুরেই একটি কোল্ড স্টোরেজ এ নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিল। এবং যে স্থানটিতে রমজান খুন হয় সেখানে ফয়জার এর টর্চ লাইটের ভাঙ্গা অংশও পাওয়া গেছে। তাছাড়া ঘটনা পরবর্তী তার আচরণ যথেষ্ট সন্দেহ জনক ছিল বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ফয়েজ স্বীকার করেছেন , রাতের আধারে দুর থেকে মুখে কাপড় বাধা তিন চার জন যুবক মিলে রমজানকে খুন করতে দেখেছেন তিনি।

পুলিশ পরিদর্শক গোলাম রসুল আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ফয়েজকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনার সামনে একজন মানুষকে দুর্বৃত্তরা খুন করে চলে গেলো এসময় আপনার ভুমিকা ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি ফয়েজ।

সে বার বার বিভিন্ন উলটা পালটা কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা!

এই পুলিশ কর্মকর্তা আশাবাদী খুব শীঘ্রই মামলার প্রকৃত রহস্য বের করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবেন তিনি!

পিবিআই রংপুর জেলা কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আব্দুস সালাম (রিমন) জানান , গত ০২ মার্চ গ্রেফতার কৃত আসামি ফয়েজ উদ্দিন কে গ্রেফতার করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।



মন্তব্য চালু নেই