‘ক্যানসার আক্রান্ত প্রেমিকা’র ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব প্রেমিক
ক্যানসারের দোহাই দিয়ে প্রেমিককে পথের ভিখারী বানিয়েছেন ৩১ বছরের এক নারী। মিশেল জিপ নামের সেই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমেরিকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। গত অক্টোবর মাসেই মিশেল জিপের সঙ্গে পরিচয় হয় পেনসিলভেনিয়ার ওই যুবকের। মিচেল তার কোনও এক বন্ধুর পরিচিত।
তার পর থেকেই তারা ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। মিশেলের মিষ্টি কথায় প্রেমে পড়েন যুবক। খুব বেশি দেখা সাক্ষাৎ হত না। কিন্তু ফোন, ফেসবুকে তাদের কথাবার্তা ছিল নিয়মিত। আস্তে আস্তে যুবক জানতে পারেন, মিশেল ক্যানসার আক্রান্ত। ক্যানসারের শেষ ধাপে রয়েছেন। আবেগপ্রবণ যুবকটি ঠিক করে ফেলেন, তিনি মিশেলকেই বিয়ে করবেন। ওর পাশে দাঁড়াবেন। চিকিৎসার জন্য দরকার প্রচুর টাকা। মিশেল নিজেই দিয়েছিলেন ওই খবর।
মিশেলের সব কথাই চোখ বুজে বিশ্বাস করতে শুরু করেন তিনি। মিশেলও খুব পরিকল্পনামাফিক এগোতে থাকেন। পাছে ধরা পড়তে হয়, তাই খুব বেশি দেখা করতেন না প্রেমিকের সঙ্গে। ফোন বা মেসেজ পাঠিয়ে চিকিৎসার আপডেট দিতেন। কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছে, নার্স তার রিপোর্ট দেখে কী বলেছে, সবটাই মেসেজ করে তাকে জানাত।
সপ্তাহখানেক আগে মেসেজেই মিশেল জানায়, খুব তাড়াতাড়ি তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। তা না হলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। প্রেমিকাকে বাঁচাতে মরিয়া হতে ওঠেন যুবক। ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার ডলার ধার নেন। তার অনেকটা সে দিনই পাঠিয়ে দেন প্রেমিকার অ্যাকাউন্টে।
চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্রোপচার সম্বন্ধে কথা বলতে চান তিনি। কিন্তু তার পর থেকেই যুবক লক্ষ্য করেন, বারবারই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছে মিশেল। এমনকি তার ফোন বা মেসেজেরও ঠিকমতো উত্তর দিচ্ছিল না। যে হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করাচ্ছে বলে মিশেল জানিয়েছিল সেখানে গিয়েও জানা যায় ওই নামে কোনও রোগীই নেই। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের কাছে যান তিনি। তার পরই মিশেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পেনসিলভেনিয়ার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা দুই জন দুই মেরুর। একজন অন্যের বিপদে নিজের সর্বস্ব নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। অন্যজন এই মহৎ গুণটাকেই কাজে লাগিয়ে তাকে ঠকিয়ে গেছে।
মিশেল আর কারও সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তাও তদন্ত করছে পুলিশ।
সূত্র : আনন্দবাজার।
মন্তব্য চালু নেই