ক্যাটরিনার বোন ইসাবেলা কাইফ নিয়ে নয়া কাহিনী !

খুঁটির জোর তার আছে৷ বিদেশি ছবিতে অভিনয়ও হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু মুম্বাই-মহলে এখনও আমল পাচ্ছেন না৷ ইসাবেলা কাইফের হলোটা কী? দিদি ক্যাটরিনাই বা কী করছেন?

এমনিতে ইসাবেলা কাইফের রেজুমে দেখলে খুঁত খুঁজে পাওয়া ভার৷ দেখতে-শুনতে ভালো৷ অ্যাক্টিংয়ের যে ডিগ্রিটি তার পকেটে, সেটা এদেশের নয়, বিদেশের৷ স্রেফ বিদেশ বললেও কম বলা হবে৷ হলিউডের গন্ধ মাখা এক্কেবারে মার্কিন মুলুক থেকে অভিনয় শিখে এসেছেন৷ তারওপর, তার যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, তাতেও ফরেন-ছাপ, মানে, কানাডায়৷ কিন্ত্ত এতো সব করেও হলোটা কী ইসাবেলা কাইফের৷ ঝুল ছবি হলে বক্স অফিসের কাউন্টারের যেমন মাছি তাড়ানো ছাড়া কাজ থাকে না! তেমনই ইসাবেলা তাঁর সাধের রেজুমে নিয়ে আলো করে বসে আছেন বলিউডে৷ কিন্তু কাজ… উঁহু, সে গুড়ে বালি, অন্তত এখনও৷

অথচ, কী আশ্চর্য, ইসাবেলা তার পদবির জোরেই দু’চারটে নায়িকার রোল পেতে পারতেন না? একের পর এক তারকাপুত্র ছবি করছেন, এর বোন, তার ভাগ্নে, দেওরের ভাইপোরাও কাস্টিং থেকে ব্রাত্য হচ্ছেন না৷ সেখানে রক্তের সম্পর্ক যার ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে, তিনি টিনসেল টাউনে হাই তুলছেন-কীভাবে হয়? বিশেষ করে মুম্বাইতে যখন খুঁটির জেরে প্রাথমিক হার্ডলটা পেরনো অনেক সহজ৷ এবং দস্ত্তর৷

আসলে, ইন্ডাস্ট্রি ইনসাইডারদের বক্তব্য, ইসাবেলার প্লাস পয়েন্ট যেমন ক্যাটরিনা৷ মাইনাস পয়েন্টও নাকি তাই৷ অর্থাত্‍ খুঁটির জোর ভেবে ইসাবেলা যাকে আঁকড়ে ধরে কাস্টিং লিস্টে ঢুকে পড়ার স্বপ্ন দেখছেন, সেই ক্যাটরিনার কারণের নাকি অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি৷ শুনতে অবাক করা হলেও, এটাই নাকি বাস্তব! কেন? আসুন, অল্প কথায় দেখা যাক৷

ক্যাটরিনা আজ বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা ঠিকই৷ কিন্তু কেরিয়ারগ্রাফে চড়ার ফাঁকে ইন্ডাস্ট্রির অনেকের সঙ্গে তিনি নাকি ‘শত্রুতা’ করে ফেলেছেন৷ এঁদের মধ্যে যদি প্রথমেই কারও নাম করতে হয়, তিনি সালমান খান৷ গতকাল তিনি ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় পাঁচবছর কারাদণ্ড পেয়েছেন ঠিকই৷ কিন্ত্ত সল্লুভাইয়ের হাত ধরে অনেকেই বলিউড বাজারে পায়ের তলায় শক্ত জমি খুঁজে পেয়েছেন৷ এই তালিকায় অবশ্যই রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ৷

একসময় সালমানের সঙ্গে ডেট করতেন ক্যাটরিনা৷ সম্পর্কটা চিরস্থায়ী হয়নি৷ তবে সম্পর্কের রেশ মিটতে না মিটতেই আর্ক-রাইভ্যাল রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার ‘প্রেম’টা নাকি মোটেও ভালো চোখে দেখেননি সালমান৷ সল্লুমিয়াঁর বিরাগভাজনদের মধ্যে তাই ঢুকে পড়েছেন ক্যাটরিনা কাইফও৷ একশো কোটি ক্লাবের ছবিগুলোর নাম্বার ওয়ান হিরো সালমান খানের বিরাগভাজন ক্যাটরিনা কাইফের বোনকে তাই সুযোগ দিয়ে সল্লুমিয়াঁর চক্ষূশূল হতে চান না অনেকে, এটা তো স্বাভাবিক৷

ক্যাটরিনা ‘ডেটিং’-এর রকমসকম নিয়ে আপত্তি রয়েছে নাকি অনেকেরই৷ তার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড রণবীরের পরিবারের সদস্যদেরও৷ কেননা, রণবীরের সঙ্গে ডেট করতে-করতে নাকি মাঝখানে হৃতিকের সঙ্গে কিছুদিন ‘ঘনিষ্ঠতা’ করেছিলেন ক্যাট৷ সবমিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটা অংশ ক্যাটের প্রতি (এবং তার বোনের প্রতি) সদয় থাকবে না, এটা প্রায় নিশ্চিত৷ ব্যাপারটা যে এখানেই শেষ, তা নয়৷

আক্ষরিক অর্থেই ক্যাটরিনাকে ইন্ডাস্ট্রিতে লঞ্চ করেছিলেন টাইগার শ্রফের মা আয়েশা শ্রফ৷ এখন ক্যাটরিনার সঙ্গে ‘টকিং টার্মস’ নেই আয়েশার৷ আবার ছবির দুনিয়ায় খ্যাতি পাওয়ার আগে বেশ কয়েকজন পুরুষ মডেল এবং ততোটা-বিখ্যাত-নন অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ক্যাটরিনার৷ এখন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই নাকি অত্যন্ত খারাপ সম্পর্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যাটের৷

সব মিলিয়ে অনেকেরই আশঙ্কা, ইসাবেলাকে যদি ইন্ডাস্ট্রিতে পা-রাখার জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে আবার একটা ক্যাটরিনা কাইফই তৈরি হবে৷ আর ইন্ডাস্ট্রির একটা অংশের সঙ্গে ক্যাটরিনার ‘অম্ল-মধুর’ সম্পর্কের জেরে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে খালি হাতেই থাকতে হচ্ছে ইসাবেলাকে৷

ইতিমধ্যে ইসাবেলা নাকি দিদি ক্যাটরিনাকে অনুরোধ করেছেন, যাতে বলিউডে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে কিছু সুরাহা হয়৷ ক্যাটরিনাও ২৯ বছরের বোনকে বলেছেন তৈরি থাকতে৷ কিন্ত্ত আদৌ সেই আশ্বাসে কোনও কাজ হবে কি না, তাতে সংশয় রয়েছে৷ ক্যাটরিনার সঙ্গে সালমানের যখন সুসম্পর্ক, তখন সল্লুভাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইসাবেলাকেও দাঁড় করিয়ে দেবেন৷

ক্যাটের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও সালমান একটি কানাডার ছবিতে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ইসাবেলাকে৷ সালমান কথা রাখলেও ছবিটা চলেনি৷ নতুন করে সালমান আবার সাহায্য করবেন (বিশেষ করে এখন দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়) সে আশাও নেই৷ সুতরাং ইসাবেলাকে বলতে হচ্ছে, ‘ভারতীয় ছবিতে কোনওরকম সুযোগই আমি আমি আর ছাড়তে রাজি নই৷’ স্বাভাবিক৷ যতোই তিনি লি স্ট্রাসবার্গ থিয়েটার (এখান থেকে অ্যাক্টিং-এর পাঠ্যক্রম করেছিলেন রণবীরও) থেকে ডিগ্রি পান, মার্কিন মুলুক থেকে মুম্বাই যে বহূ দূর!



মন্তব্য চালু নেই