কৌশলে জন্মাবে শিশুর পড়ার আগ্রহ
শত ব্যস্ততার মাঝেও বাচ্চাদের পড়াতে বসতে মায়েদের ভুল হয় না। কিন্তু বই নিয়ে বসলেই শত অজুহাত আর অস্থিরতা এসে ভর করে সোনামনির কাঁধে। মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ভালো হওয়া সত্বেও না পড়ার কারণে পিছিয়ে যায় আপনার সন্তান। তাই দুরন্ত শিশুর মধ্যে পড়ার আগ্রহটা জন্মাতে হবে কৌশলেই। পড়ার সময়টুকু যেন সম্পূর্ণভাবেই তার উপভোগের হয়। আর তাই..
নির্দিষ্ট রুটিন করুন
আপনার বাচ্চাকে পড়তে বসানোর জন্য প্রথমে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করুন। আপনার শিশু যখন পড়তে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে ঠিক সেই সময় আপনাকেও বসতে হবে। আপনি যদি আপনার সময় অনুযায়ী বাচ্চার পড়ার সময় বাছাই করেন তাতে তা পড়ার আগ্রহ কমতে থাকবে।
বাচ্চাকে প্রশংসা করুন
আপনার বাচ্চার পড়ার আগ্রহ বাড়াতে প্রশংসা করুন। উপহার স্বরূপ কিছু খাবার দাবার রাখুন। খারাপ করলেও মন ভেঙে দেবেন না বরং উৎসাহিত করবেন। একটু ভালো করলেই ‘ভেরি গুড’, ‘থ্যাংক ইউ’ ‘হাততালি’ দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করুন। দেখবেন সে আরও বেশি উৎসাহ পাচ্ছে।
পড়ান ছন্দের তালে
বাচ্চারা একা পড়াতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই পড়াতে বসে আপনি চুপচাপ না থেকে তার সঙ্গে আপনিও পড়ুন। যেকোনো বিষয়ে একটা ছন্দের তালে পড়ালে সে আরও বেশি মজা পাবে। এতে আপনার বাচ্চা দ্রুত পড়া মুখস্ত করতে পারবে।
পড়ার ফাঁকে খেলা
পড়া যাতে একঘেঁয়েমি কোন ব্যপারে পরিণত না হয়। একটু পড়ার পর তার সঙ্গে খেলা করে নিন। হতে পারে সেটা পড়া বিষয়কই খেলা। এতে বাচ্চার খেলাও হলো আবার পড়াও হলো।
বার বার প্রশ্ন করুন
বাচ্চার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পড়ার ফাঁকে তাকে জানা বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করুন। আর আপনার বাচ্চা যদি প্রশ্নের ঠিক উত্তর দেয় তাহলে তার উত্তরের বিপরীতে ভালোবাসা আর আদর দিন।
বিস্তৃত জায়গা নির্বাচন করুন
আপনার বাচ্চার পড়ার জায়গা নির্দিষ্ট টেবিল চেয়ারে না রেখে বিছানায় বা মেঝেতে বসাতে পারেন। এতে স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চার পড়ার একঘেঁয়েমি কেটে যাবে।
বাচ্চাকে সময় পেলে তার ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষণীয় ভিডিও গেম দেখান। ভিডিওতে মজা করে পড়া লেখা করছে, কবিতা পাঠ করছে, টিচাররা বাচ্চাদের সঙ্গে মজা করছে তাদের অনেক কিছু শিখাচ্ছে এমন ভিডিও দেখলে বাচ্চাদের পড়ার প্রতি খুব আগ্রহ জন্মাবে।
মন্তব্য চালু নেই