কোয়ার্টারে বাংলাদেশ, বাঘের গর্জন শুনলো বিশ্ব

বিশ্বকাপে ইংলিশ শিবির গুড়িয়ে দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনলো টাইগাররা। ইতিহাস রচনা করে বিশ্বকাপের স্বপ্নিল কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাহমুদুল্লাহ’র সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করে টাইগাররা। জবাবে, রুবেল, মাশরাফি ও তাসকিনদের বোলিং তোপে ভেঙ্গে পড়েছে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। আর তাতেই ইংলিশদের বিপক্ষে ১৫ রানে অবিস্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

এর আগে, অ্যাডিলেডে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮ রানে অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল। তবে, তৃতীয় উইকেটে সৌম্য ও মাহমুদুল্লাহ’র ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রাথমিক বিপদ সামলায় টাইগাররা। ৮৬ রানের জুটি গড়ে, ব্যক্তিগত ৪০ রানে সৌম্য আউট হবার পরপরই, ২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব আল হাসান। এরপর উইকেট আগলে রেখে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে কোন উইকেটে রেকর্ড ১৪১ রানে জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। দারুণ খেলা মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরি তুলে ১০৩ রানে আউট হন। অন্যদিকে মুশফিক ফেরেন ৮৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে। শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা রানের গতি বাড়াতে না পারলে, প্রতিপক্ষকে ২৭৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।

জবাবে শুরুটা ভালো করে ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ৪৩ রান যোগ করে, রান আউটের ফাঁদে পরে ১৯ রানে আউট হন মঈন আলী। এরপর, অভিজ্ঞ ইয়ান বেল ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে ভালই জবাব দিচ্ছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু, ২৭ রান করা হেলসকে ফেরান মাশরাফি। বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি ইয়ান বেলও। মাশরাফির বলে বোকা বনে সাজঘরে ফেরেন তিনি ৬৩ রানে। এরপর, আবারো আঘাত হানেন রুবেল। শূন্য রানে আউট অধিনায়ক মরগান। এরপর তাসকিনের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জেমস টেইলর। এরপর, জস বাটলারের গা জ্বালানো ব্যাটিং হৃদয়ে কম্পন ধরাচ্ছিলো টাইগার সমর্থকদের। তবে, তাসকিন ফেরান তাকে। এরপর, রুবেল ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে ইংলিশরা অলআউট হয় ২৬০ রানে।

আমাদের দ্বিতীয় রিপোর্ট :

ইংলিশদের কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে বাংলাদেশ



মন্তব্য চালু নেই