বুসান আই পার্কের কোচ উন সুং হাইয়োন কণ্ঠে শোনা গেল শেখ জামালের প্রশংসা, ‘আমরা শুনেছি শেখ জামাল ভালো দল। জাতীয় দলের এগারো জন খেলোয়াড় আছে এই দলে। আর তারা অনেক ভালোই খেলে। আমরাও চেষ্টা করবো ভাল খেলার। আর সেটা এমন খেলা যা আপনাদের হৃদয়ে থেকে যাবে।’ প্রসঙ্গত, বুসান আই পার্কেও খেলেন দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড়। তবে তারা জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনের জন্য বাংলাদেশে আসেনি। শেখ জামালের জন্য এটা একটা শুভ বার্তাই। তবে এই দলের অন্য খেলোয়াড়দের মানও তাদের মতোই। তাই শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল পাঁচটায় কঠিন এক পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশের সেরা দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে।
কোরিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সামনে শেখ জামাল
লড়াই হবে দুই চ্যাম্পিয়ন দলের। একটি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অন্যটি দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল প্রতিযোগিতা কে লিগের চারবারের চ্যাম্পিয়ন বুসান আই পার্ক। এর আগে কখনো দেখা হয়নি এই দুই দলের। সে কারণেই হয়তোবা শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্য সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি দুই দলের কোচ।
ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থানটা বাংলাদেশের তুলনায় স্পষ্টভাবেই অনেক উপরে। তাই কে লিগের এক সময়ের চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলশৈলীও যে উঁচু মানের হবে তা নিয়ে সংশয়ের কোন কারণ নেই। এই বিষয়টি হয়তো শেখ জামাল কোচ মারুফুল হককে কিছুটা সংযত করেছে। তাই ময়দানি দ্বৈরথে মাঠে নামার আগে ভক্তদের উদ্দেশ্যে জয় নিয়ে স্পষ্ট কোনো আশ্বাসবাণী শোনাননি সম্প্রতি ভুটান জয় করে আসা বাংলাদেশী কোচ।
তবে তিনি সেরা ফুটবল উপহার দিয়ে দলের সুনাম রক্ষার প্রতিজ্ঞা করলেন। এদিন ঘোষণা করলেন, ‘ভুটানের কিংস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছে শেখ জামাল। তাই স্বাভাবিকভাবে আমাদের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আশা করি আমাদের সুনাম রক্ষা করে ভালো খেলা উপহার দিতে পারবো।’ একই সুর ছিল বাংলাদেশের দলটির অধিনায়কের কণ্ঠেও। অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তিনটি ভিডিও দেখে তাদের খেলা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন কোচ। এখন সেই অনুসারে ভালো খেলার লক্ষ্য থাকবে আমাদের।’
মন্তব্য চালু নেই