কোরবানী নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : ওলামা লীগ

আসন্ন ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী ওলামা লীগের (একাংশ) সভাপতি মাওলানা মো. আখতার হোসাইন বোখারী। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগে বিএনপি-জামায়াত-শিবির-হেফাজতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

এছাড়া, সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু হিন্দুত্ববাদী ও মৌলবাদী সংগঠনও এ বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, কোরবানি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কিছু বিষয় সামনে এনে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানদের কোরবানিতে নিরুৎসাহিত করতে চায়।

দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাওলানা বোখারী এসব দাবি করেন। তিনি বলেন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে ম্লান করে এরা প্রমাণ করতে চায় যে, আওয়ামী লীগ সরকার কোরবানির বিরোধী। সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন তারাই আসল আওয়ামী ওলামা লীগ। ওলামা লীগ বলে অন্য কোন সংগঠন আর নেই।

তিনি বলেন, নামাজ, জাকাত, রোজা, হজ যেমন ফরজ তেমনি পবিত্র ঈদুল আজহায় আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি দেয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। যেখানেই সুবিধা পাওয়া যাবে সেখানেই কোরবানি করা যাবে। কিন্তু একটি মহল কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

বোখারী বলেন, কোরবানির পশুর হাট কম হলে কোরবানির পশু কেনা সমস্যা হবে। পশু জবেহ করার স্থান নির্ধারণ করে দিলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানিতে নিরুৎসাহিত হবে। এতে করে বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। জামায়াত-শিবির-বিএনপি, হেফাজতের নেতাকর্মীরা কোরবানি নিয়ে কথা বলার সুবিধা পাবে।

মুক্ত চিন্তার মানুষ ও ব্লগারদের অনেককে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি বলেন, কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে মুসলমান দাবি করে আল্লাহর আদেশ ও পবিত্র কোরআন, হাদিসের নিয়মকানুন অমান্য করে তাহলে সে-ই নাস্তিক। সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেলো। সে ইবলিশের কাতারে চলে গেলো।

‘আমাদের ওলামা লীগই আওয়ামী লীগের মূলধারার ওলামা লীগ’ এমন দাবি করে মাওলানা মো: আখতার হোসাইন বোখারী বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের ডাকে। বিভিন্ন আলোচনা সভায় যাই। দলীয় খরচ তারা দেয়। তাই আমরাই মূলধারার ওলামা লীগ। আমি এই দলের সভাপতি।



মন্তব্য চালু নেই