কোন ভঙ্গিতে ঘুম হয় ভাল?‌

ঘুমের সমস্যায় কম-বেশি সবাইকে পড়তে হয়। কারও বেশি ঘুম, কারও ঘুম আসতে চায় না।

তবে সাধারণত ঘুম না আসার বিষয়টিকেই সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এজন্য ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুতে যাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। তবে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না। পরবর্তীতে এটা স্থায়ীভাবে ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তার চেয়ে শোওয়ার ভঙ্গি পাল্টে দেখুন।

❏ ‌চিৎ হয়ে শুলে ভাল ঘুম হবে। হাত দু’‌টো পাশে ছড়িয়ে দিন। শিরদাঁড়া ও ঘাড়ের পক্ষেও এটা ভাল। তবে মাথার নীচে একটার বেশি বালিশ রাখবেন না। মাথা বেশি উচু হলেই নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

❏ চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দু’‌টো মাথার ওপরে রাখবেন না। এতে নাক ডাকার সমস্যা তো হয়ই, কাঁধের ওপর অকারণ চাপ পড়ে। তবে পিঠের নীচে নরম বালিশ রাখলে অসুবিধা নেই।

❏ উপুড় হয়ে শুলে পেটে চাপ পড়ে। খাবার ভাল হজম হয়। তবে এমন ভঙ্গিতে শুলে ডান অথবা বাঁদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতে হয়। এতে ঘাড়ের ওপর চাপ পড়ে। এক্ষেত্রে পেটের নীচে নরম বালিশ রাখুন।

❏ অনেকে জড়োসড়ো হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এতে থুতনি ও হাঁটু প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। বাঁ দিক ফিরে এভাবে শুলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। লিভার, পেট এবং শ্বাসযন্ত্রে চাপ পড়তে পারে। ডানদিকে ফিরে শুলে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ রাখুন।

❏ বাঁ অথবা ডান দিকে ফিরে সোজা হয়ে ঘুমোতে পারেন। এতে পিঠ ও কোমরের ব্যাথা হয় না। মুখ বালিশে চেপে রাখলে বলিরেখা পড়তে পারে। এক্ষেত্রে নজর রাখুন। পায়ের মাঝে বালিশ রাখতে পারেন।

তবে ঘুমের সমস্যা দূর করতে কিছু সাধারণ বিষয় মেনে চলা উচিত। নিয়মিত একই সময়ে বিছানায় যাওয়া, ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে রাতের খাবার শেষ করা, বিছানায় যাওয়ার আগে বা বিছানায় শুয়ে মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহার না করা ইত্যাদি।



মন্তব্য চালু নেই