কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত ?
উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশের সরকার প্রধানরা কে কেমন বেতন পান, সে বিষয়ে সবার কৌতূহল রয়েছে। বিভিন্ন দেশের হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে সরকার প্রধানদের বেতন তুলে ধরেছে সিএনএন মানি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাই এগিয়ে আছেন বেতনে। ২০০১ সালে জর্জ ডাব্লিউ বুশের আমলেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। আর ওবামা অতিরিক্ত করমুক্ত ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পান ব্যয় হিসেবে। এক বছরের বেতন হিসেবে তিনি পান চার লাখ মার্কিন ডলার বা তিন কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসে পান ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বেশি বেতন পাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টেফেন হারপার। তার বার্ষিক বেতন দুই লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা দুই কোটি আট লাখ টাকা। মাসিক বেতন ১৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি মাস থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর ও মন্ত্রীদের বেতন ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এ হিসাবে বর্তমানে তার বার্ষিক বেতন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার বা এক কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা। মাসিক বেতন ১৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। তার বার্ষিক বেতন দুই লাখ ২৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা এক কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মাসিক বেতন ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০০৯ সালের ৯ মে থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি।
ডেভিড ক্যামেরন ২০১০ সালের ১১ মে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি বার্ষিক বেতন পান দুই লাখ ১৪ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার বা এক কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। তার মাসিক বেতন ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা, যার মধ্যে ছয় লাখ ৪৮ হাজার টাকা পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে পাওয়া ভাতা।
শিনজো আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব পালন করছেন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে। তার বার্ষিক বেতন দুই লাখ দুই হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার বা এক কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। মাসিক বেতন ১৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। ২০১২ সালের ১৫ মে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির আগের প্রেসিডেন্ট থেকে ৩০ শতাংশ কম তার বেতন ধার্য করেন। তিনি পান এক বছরে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার বা এক কোটি ৫৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। মাসিক বেতন ১২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। তবে আগের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি নিতেন বার্ষিক দুই লাখ ৫৫ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার, যা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
রাশিয়ায় অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এ কারণে গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন তার বেতন ১০ শতাংশ কমিয়েছেন। বর্তমানে তার বেতন বার্ষিক এক লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার বা এক কোটি আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। মাসিক বেতন নয় লাখ ছয় হাজার টাকা। উন্নত অর্থনীতির দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে বেতনের অঙ্কে তার অবস্থান অষ্টম। সর্বশেষ ২০১২ সালের ৭ মে থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
বামপন্থী রাজনীতিক মাত্তেও রেনজি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। বেতন পাওয়ায় তার অবস্থান নবম। বার্ষিক বেতন এক লাখ ২৪ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার।
দিলমা রৌসেফ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। তার বার্ষিক বেতন এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বেতন পাওয়ার দিক থেকে তার অবস্থান দশম।
নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। ডানপন্থী দল বিজেপির টিকেটে হয়েছেন ভারতের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালের ২৬ মে থেকে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শিগগিরই তার বেতন ৩০ শতাংশ বাড়বে। এ হিসাবে বার্ষিক পাবেন ৩০ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার বা ২৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা। মাসিক বেতন দুই লাখ দুই হাজার টাকা।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে চলতি বছর ৬০ শতাংশ বাড়ার পরও তার বার্ষিক বেতন দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার মার্কিন ডলার বা ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মাসিক বেতন এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর। তথ্য সুত্রে-ওয়েবসাইড
মন্তব্য চালু নেই