বিয়ের আগে জেনে নিন :
কোন জেলার মেয়েরা কেমন?
এই লেখাটি লেখকের একান্ত চিন্তা অথবা কল্পনাপ্রসুত ভাবনার ফসল । পুরো লেখাটি পরার পর অনেকের রাগে চুল ছিড়তে ইচ্ছে হতে পারে । অনেকেই মিলে যাওয়ার আনন্দে খুশি হতে পারেন ।
কোন জেলার ছেলেরা বিয়ের জন্য ভালো লেখাটির পর অনেক ভাইয়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল, কেন আমি কোন জেলার মেয়েরা কেমন, সেটা লিখি নাই। তাই আজকে শুরু করলাম, কোন জেলার মেয়েরা কেমন?
ভাইয়ারা , বিয়ে করার কথা ভাবছেন? সাবধান! জেনে নিন কোন জেলার মেয়েরা কেমন? তারপর সিদ্ধান্ত নিন কার ঘাড়ে লটকাবেন অথবা কাকে দিয়ে ঘাড় মটকাবেন?
আপনারা যারা বিবাহযোগ্য মানে, যাদের বিয়ের বয়স হয়েছে, এখন কিংবা অদূর ভবিষ্যতে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করছেন, তাদের জন্য অলস মস্তিস্ক নিয়ে অনেক ‘গবেষণা ‘ করে আমি এই পোস্ট তৈরী করেছি। বিভিন্ন পরিচিত জন, এর আগের পোস্টে বিভিন্ন জনের অভিমত, আমার নিজের দেখা সব মিলিয়ে বিয়ে করার জন্য জেলা ভিত্তিক মেয়েরা কেমন হয়, সেটা নিয়েই আজকের লেখা ।
তবে নিচে উল্লেখিত সব ভাবনাই অনুমান মাত্র, সব ক্ষেত্রে মিলে যাবে এমন কোন ব্যাপার নেই -কিছু কিছু ক্ষেত্রে ২০/৩০ ভাগ মিলে যাবার সম্ভাবনাও কম । এর জন্য লেখক ও প্রকাশককে নিজগুনে ক্ষমা করবেন ।
যশোর-সাতক্ষীরা
মেয়েরা অনেক সুন্দরী। যশোরের মেয়েরা কুটনামিতে খুব ওস্তাদ হয়, প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। আর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সহ্যই করতে পারেনা। পরকিয়াতেও ওস্তাদ।
চট্টগ্রাম
মেয়েরা বাইরের জেলার ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। কিছুটা কনজারভেটিভ।
সিলেট
মেয়েরা পর্দানশীল বেশী। সিলেটি মেয়েরা সাধারণত বাইরের জেলাতে বিয়ে করতে যায় না। আত্মীয়দের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। অনেকের মতে সিলেটি মেয়েরা ‘ছ্যাচড়া’ প্রকৃতির ।
পুরান ঢাকা
মেয়েরা খুবই দিলখোশ। ঢাকার অন্য এলাকার মেয়েরা জগাখিচুরি (ভালো মন্দ মিলিয়ে)
খুলনা
মেয়েরা স্বামী অন্তপ্রাণ। খুলনার মেয়েরা নাকি ফ্যামিলির ব্যাপারে একটু সিরিয়াস টাইপের হয়।
উত্তর বঙ্গ
মেয়েরা কোমলমতী হয় তবে বেকুব ও আনক্রিয়েটিভ বলেও কথিত আছে ।
বরিশাল
মেয়েরা একটু ঝগড়াটে, ভালো রাঁধুনী, ন্যাচারাল সুন্দরী, সংসারী এবং স্বামীভক্ত। কিন্তু বরিশাল থেকে সাবধান, যতই সুন্দর হোক… জীবন বরবাদ করে দেবে এমন কথাই বেশিরভাগ ভুক্তভুগি বলে থাকে ।
ময়মনসিংহ
৭০ ভাগ মেয়েরা একটু বোকাসোকা অথবা সরল ,বাকি ৩০ ভাগ বদমাইশ। কেউ কেউ স্মার্ট এবং ডেয়ারিং বলে নিশ্চিত হওয়া যায় ।
সিরাজগন্জ
মেয়েরা শান্ত শিষ্ট, পতিপরায়ন এককথায় ভালো, যদি শান্তিতে ঘর করতে চান এদের বিকল্প নেই । তবে কিছু ক্ষেত্রে অমিল হতেই পারে ,যদি আপনার কপাল পোড়া হয় ।
বগুড়ার
মেয়েরা একটু ঝাল প্রকৃতির । এরা একতু বেশিই খোলামেলা মনের, বিয়ের আগে একটু বেশি খাই খাই স্বভাবের হলেও তবে বিয়ের পর অল্পতেই এরা সন্তুষ্ট (প্রমানিত )
কুষ্টিয়া
এখানকার মেয়েরা একটু অহংকারী, কিন্তু সেই তুলনায় রুপবতী নয়। তবে মননশীল, রুচিসম্পন্ন। যাকে ভালবাসে সত্যিকারের ভালবাসে, কোন রাখঢাক নাই। মুখের ভাষা খুবই শুদ্ধ। শুনলে শুধু শুনতেই মন চাইবে।
বি.বাড়িয়া
মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রেমের সম্পর্কে ‘পলটিবাজ’ কিন্তু বিয়ের পর পতিভক্ত ও সংসারী। অনেক মিশুক।
রাজশাহী
মেয়েরা একটু লাজুক।অনেক সুন্দর করে কথা বলে । বিয়ের পর সবাইকে মুগ্ধ করে রাখতে এরা ভীষণ ওস্তাদ ।
পাবনা
মেয়েরা বিয়ের আগে খুব কুটনা প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে এরা খুব সাংসারিক , যৌথ পরিবারে সবাইকে বেশ আপন করে নিতে পারে , অনেক ক্ষেত্রে বেশ পরিশ্রমিও এরা ।
জামালপুর
এই জেলায় সুন্দরীদের ঘনত্ব বেশি। মেয়েরা বেশি স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।
নোয়াখালী
বাবা- মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভুলতে চাইলে নোয়াখালীর মেয়েদের তুলনা নেই। বেশির ভাগ মেয়ে কারো কথার নিচে থাকতে চায়না। এরা চরম ঝগরাটে স্বভাবের হয়। তবে তারা শশুড়বাড়ির জন্য করতে চাইলে নিজের সব দিয়ে করে, না করলে নাই!
ফরিদপুর
মেয়েরা চোরা স্বভাবের। কথা বলে কম সমালোচিত আছে, ওদের মত কুটিল প্যাচের মানুষ খুব কমই হয়।
কুমিল্লা
মেয়েরা শ্বশুরবাড়ির মানুষদের পছন্দ করেনা। কুমিল্লার মেয়েরা সুন্দরী, অনেক দায়িত্বশীল, তবে সংসারে প্রভাব বিস্তার করতে বেশি পছন্দ করে।
টাংগাইল
মেয়েরা খুব ভাল হয়, বান্ধবী হিসেবেতো বটেই, পাত্রী হিসেবেও। এ অঞ্চলের মেয়েগুলো দুনিয়ার ‘বজ্জাত’ … তবে বান্ধবী হিসাবে ভাল! একটু
দিলখোলা টাইপের।
মাদারিপুর
মেয়েরা খুবই কিউট, খুব খরচে, জামাইয়ের পকেট ফাকা করতে উস্তাদ। তবে সব টাকা জমিয়ে রাখে সংসারের জন্যই ।
চাঁদপুর
মেয়েরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, অথিতিপরায়ণ। তাদের সরল ভালবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। আর শ্বশুরবাড়ী চাঁদপুর হলে ইলিশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না
আর আসল কথা হলো চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপীর থেকেও বেশী। চাদপুরের মেয়েরা ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।
দিনাজপুর
মেয়েরা খুব সুন্দরী হয়। তবে এরা বেশি সাজগোজ পছন্দ করেনা, ন্যাচারাল বিউটি এদের মধ্যেই , মুখ বুজে সব সহ্য করার মত মেয়েদের এই জেলাতেই আধিক্য ।
চাপাই নবাবগঞ্জ
মেয়েরা সরল মনের অধিকারী।
গাজীপুর
মেয়েরা খুবই ভাল, মিশুক এবং রসিক । এখানকার মেয়েরা জেদী, লাজুক ,মিডিয়াম সুন্দর, মিডিয়াম স্মার্ট এবং সংস্কৃতি মনা।
নরসিংদী
মেয়েরা উড়াল পঙ্খীর মতো, তাদের মন আর চলার ঢং আকাশের রংয়ের মতো বদলায়।
কিশোরগঞ্জ
মেয়েরা একটু বোকাসোকা । তবে মিশুক, বন্ধুপাগল বা বন্ধুপ্রেমী হয়। স্বামী ভক্ত হয় তবে কিছু ক্ষেত্রে বোকামি কাটিয়ে অতিচালাক হয়ে এমনও হতে পারে যে সারাজীবন বউয়ের দ্বারা নিগৃহীত হওয়া… অসম্ভব কিছু না।
নারায়ণগঞ্জ
এর মেয়েরা সাধারণত তারা কি চাই তারা নিজেরাও জানে না।
মুন্সিগঞ্জ
মেয়েরা একটু বেশি বেশি প্রেমে আগ্রহী… ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা কম।তবে এরা খুব ট্যালেন্ডেট , এখানকার মেয়ারা প্রফেশনাল লাইফে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাইন করে ।
ভোলা
মেয়েরা সহজ, সরল, কথা একটু বেশি বলে। প্রেম জীবনে করলে একটাই করে। চেহারা সুন্দর হয়। সততা খুব বেশি।
কক্সবাজার এর মেয়েদের চেহারায় একটু চাকমা ভাব আছে… তারা মঙ্গল গ্রহের ভাষায় কথা বলে… তবে দিল পরিস্কার।
এবার পড়ুন :……………….
মন্তব্য চালু নেই