কোন চুলে কেমন চিরুনি
কালো কেশের কন্যা, কথাটি শুনলেই কল্পনার রাজ্যে ঘন কালো দীর্ঘ চুলের একটি মেয়ের ভাসা ভাসা ছবি ভেসে উঠে। আর সাথে দীর্ঘশ্বাস। ব্যস্ত এই জীবনে নিজের প্রতি যখন যত্ন নেওয়ার সময় নেই তখন চুলের প্রতি যত্ন নেওয়ার কথা চিন্তা করা কষ্টের। তবে আপনি পারেন কিছুটা হলেও এর যত্ন নিতে। চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় কিংবা ব্যায়াম হচ্ছে সঠিক চিরুনির ব্যবহার। ভাবছেন চিরুনির আবার সঠিক কী? জেনে নিন কোন চুলে কেমন আর কিভাবে চিরুনির ব্যবহার করা দরকার।
স্বাভাবিক চুল :
স্বাভাবিক চুল যাদের তারা যেকোনো ধরণের চিরুনিই ব্যবহার করতে পারেন। ভালো কোয়ালিটির সফট ব্রাশ এবং মাঝারী দাঁতের চিরুনি এই ধরণের চুলের জন্য একেবারে পারফেক্ট।
সিল্কি স্ট্রেইট চুল :
সিল্কি স্ট্রেইট চুল যাদের তারা হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। এই ধরণের চুল একেবারে চেপ্টা হয়ে থাকে। তাই হেয়ার ব্রাশ ব্যবহারের মাধ্যমে চুলটাকে হালকা ব্যাক ব্রাশ করে একটু ফুলিয়েও নিতে পারবেন।
কোকড়া চুল :
কোকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে কখনই হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত না। কারণ এই ধরণের চুলে ব্রাশ ব্যবহার করলে চুলে চট লাগে এবং চুল ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে বড় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত।
ভঙ্গুর ও পাতলা চুল :
খুব ভঙ্গুর ও পাতলা চুলের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। ভঙ্গুর ও পাতলা চুল আঁচড়ানো উচিত মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে। খুব ধীরে ধীড়ে জট ছাড়িয়ে এই ধরণের চুল আঁচড়াতে হয়। নাহলে চুল ছিড়ে যায় এবং প্রচুর চুল পড়ে যায়।
এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন, রাউন্ড ব্রাশ বা গোল চিরুনি, এসব বড় গোল চিরুনি দিয়ে খুব সহজেই ও সুন্দরভাবে চুল আঁচড়ানো যায়। যদি চুল অনেক ঘন ও লম্বা হয়, তাহলে এ ধরনের চিরুনি ব্যবহার করা ভালো। প্যাডেল ব্রাশ জাতীয় চিরুনি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এটি কখনও লম্বা, কখনও ফ্লাট আবার কখনএ কম প্রস্তেরও হতে পারে। কোঁকড়া চুলের জট ছাড়াতে এ ধরনের চিরুনি অনেক বেশি উপকারী।
ভেন্টেড ব্রাশ চিরুনি ছোট চুলের জন্য এ ধরনের চিরুনি খুব ভালো। চুল শুকানোর পাশাপাশি হেয়ার স্টাইল করার কাজেও এর কোনো বিকল্প নেই। কুশন ব্রাশ চিরুনি ডিম্বাকার বা গোলাকার দুটোই হতে পারে। সাধারণভাবে চুল আঁচড়ানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। তাতে চুল সহজে ভাঙ্গেও না। তবে এটি সাধারণত লম্বা চুলের জন্য ব্যবহার করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই