হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ :

কোনো ছাত্রীকে একা পেলেই গায়ে হাত দিতেন মাসুদ রানা স্যার

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষককে আটক করে তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে পালিয়ে যায় শিক্ষক।

এ ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেলে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সমবেত হয়।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মাসুদ রানা (২৮)। তিনি ফরিদপুর উপজেলার খলিশাদহ গ্রামের আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে।

শিক্ষকের হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী শামিমা, সোনিয়া, রুবিনা, শান্তা, শারমিন, শাহিনা, তমা, মারুফা ও আশা জানায়, মাসুদ রানা স্যার ক্লাসের ছাত্রীদের অশ্লীল গালিগালাজ করতেন এবং খারাপ খারাপ সব গল্প বলতেন। আমরা লজ্জা পেলেও তিনি লজ্জা পেতেন না। কোনো ছাত্রীকে একা পেলেই গায়ে হাত দিতেন। পড়া বোঝানোর কথা বলে ক্লাসে একা অপেক্ষা করতে বলে আপত্তিকর আচরণ করতেন। বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা জানান, মাসুদ স্যারের বিরুদ্ধে নির্যাতিত মেয়েরা আমাদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ করেছে।

প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক মাসুদ এর আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ওই অপরাধে আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। আসামি হওয়ার কারণে বিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মামলায় খালাস পাওয়ায় চলতি বছর স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফের বিদ্যালয়ে যোগ দেন।’

ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ মোমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর। অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদ রানার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বারবার কল করাও হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই