কোনটা ব্যবহার করা উচিত, টুথপেস্ট নাকি টুথ পাউডার?
সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা খাবার পরে যখনই কোন ব্যক্তি ব্রাস করে তখনই ব্রাসের সাথে ব্যবহার করে থাকে টুথপেস্ট অথবা টুথপাউডার। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই দাঁত ব্রাসের জন্য এই দুইটা প্রোডাক্টের মধ্যে কোনটা উপকারি?
টুথপেস্টে থাকা ফ্লোরাইড যদি অধিক পরিমাণে থাকে, তাহলে তা দাঁতে ফ্লোরোসিস করতে পারে। এক্ষেত্রে দাঁতের এনামেলে সাদা দাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে৷ যার কারণে দাঁতের গঠন মজবুত হতে পারে না। শিশুরা মাঝে মাঝে টুথপেস্টকে খাদ্য মনে করে গিলে ফেলে যার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
এ ছাড়া টুথপেস্টে বিদ্যমান এসএলএস বা সোডিয়াম লরিল সালফেট মুখ ও জিহ্বায় আলসার বা ঘা সৃষ্টি করতে পারে। টুথপেস্টে এসএলএস ব্যবহৃত হয় ফেনা উৎপন্ন করার জন্য৷ যা কখনও কখনও মুখের ক্ষতি করতে পারে। এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে টুথ পাউডার ব্যবহার করা যায়।
ভারতে হারবাল টুথপেস্ট ও পাউডার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আয়ুর্বেদ টুথ পাউডারে থাকে শুঁঠ, হরতকি, দারচিনি, লবঙ্গ, কর্পূর এবং গোলমরিচ৷ যা দাঁতকে মজবুত করতে সহযোগিতা করে৷
টুথ পাউডারে কোন দাঁত ক্ষয়কারী কয়লা বা ছাই জাতীয় কোন পদার্থ নেই। আয়ুর্বেদ টুথ পাউডারে বিদ্যমান লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য উপাদানগুলো মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। একটি কথা না লিখলেই নয় যারা তামাক পাতা সেবন করে তাদের জন্য এই টুথ পাউডার সম্ভবত সবচেয়ে কার্যকর।
তবে টুথপেস্ট এবং টুথ পাউডার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, যেমন রয়েছে টুথব্রাশ এবং নিমের ডাল বা জয়তুনের ডাল নিয়ে। যাই হোক টুথপেস্ট ও টুথ পাউডার নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, খেয়াল রাখতে হবে টুথ পাউডার এবং টুথপেস্টে যেন ক্ষতিকর কোন উপাদান না থাকে যা দাঁত ও মুখের ক্ষতি করতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই