কোথায় পাবো সঠিক ইসলাম
ইসলাম বনাম কোন সংঘঠন হতে পারে না। আল্লাহ তাঁর পবিত্র কোরআনে তা বলেন নাই। আল্লাহ কোরআনে আমি যা পাই তা শুধু দুটি শ্রেনীতে ভাগ । মুসলমান এবং মুনাফিক।
বর্তমানে ইসলাম (শান্তি) নামক শব্দটি পরিচালিত ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে। প্রথমত হচ্ছে বিজ্ঞ আলেম সাহেবদের কাছে এবং দিতীয়ত হচ্ছে ভন্ড পীরদের হাতে। ইসলাম এর জন্য আহবান দাওয়াত বর্তমানে বিক্রি ব্যতীত অন্য কিছুই নয়। আমরা লক্ষ করলেই দেখতে পাবো কোন ইমাম নামাজ পড়ান না টাকা ব্যতীত। ওয়াজ মাহফীল, কোরআন খতম, এমনকি মরলে জানাযাটা পড়িয়েও টাকা নেয়। কোন কিছুই টাকা বিনিময় ছাড়া হয় না। আর কোন পীরের আস্থাভাজন বা নৈকট্য মিলেই যে যে পরিমান টাকা দিবে বড় গরু দিবে তার সম্পর্ক ততই গভীর হবে। তাহলে আমাদের কোরআনের দুইটি আয়াতের কথা ভুলেই যেতে হয়। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন সূরা আস-শুরা ৪২:২৩ নং আয়াতে নবীকে উদ্দেশ্য করে ‘আপনি বলুন: আমি আমার দাওয়াতের বিনিময়ে তোমাদের কাছে আত্মীয়তার সম্প্রীতি (ভালবাসা) ব্যতিরেকে অন্য কোন প্রতিদান প্রত্যাশা করি না’। এই আয়াত কোনদিন তো শুনি না হুজুরদের মুখে। বরং এই আয়াতটা শুনা যায় ‘আমার বানী অল্পমূল্যে বিক্রি করো না’।এই আয়াত তারা বেশী বেশীই প্রচার করেন স্বার্থ হাসিলের জন্য। এছাড়াও কোরআনের সূরা বাকারার ১৭৪নং আয়াতটির দিকে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করছি। ২:১৭৪#‘নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব’। খেয়াল করে দেখা দরকার এই আয়াতটি কোনদিন শুনেছেন কি? এই আয়াতটাই গোপন রাখছেন তারা। সে জন্যই আমরা সঠিক প্রকৃত ইসলাম থেকে অনেক দুরে এমনকি ইসলাম (শান্তি) নামক শব্দটি আমাদের থেকেও দুরেই থাকে। চিন্তা করে দেখবেন প্রতি হাজারে কয়জন মানুষ তার নিজ হালাতের (বর্তমান অবস্থা) উপর আলহাদুলিল্লাহ বলে প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে? হাজারে একজনের বেশী পাওয়া যাবে না। অথচ আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন যেহেতু আলহামদুলিল্লাহ বলে মেনে নেওয়াটাই তো শান্তির আমরা কি তা পারছি? সন্তুষ্টি যেহেতু আমাদের মধ্যে নেই সেহেতু আমরা কি করে সঠিক ইসলাম (শান্তির) এর হতে পারি।
হাজারো কষ্ট, অসুবিধা, দু:খ থাকতেই পারে আলহামদুলিল্লাহ বলেই মেনে নিতে পারার নামকেই আমি সঠিক ইসলামের অনুসারী মনে করি। ইহ জগতে যারাই একাধিক বিভক্তি এনেছে; তারা আল্লাহ এবং তাঁর রাছুলের পথ ছেড়ে দিয়ে বেদআত এর জন্ম দিয়ে নানান শ্রেনীতে বিভক্ত করেছেন। যারা মুসলমানদের মধ্যে সুন্নি, শিয়া, এবং বিভিন্ন মাযহাব মালেকি, সাফেয়ী, হাম্বলী, হানাফি আরও অনেক দলে ভাগ করেছেন তাদের এবং তাদের অনুসারিদের কি মনে হয় না? যে কাজ আল্লাহ এবং রাছুল সা. করেন নাই। সেটা করা বা বলা বেদআত ছাড়া অন্য কিছু কি? সবারই উচিৎ এই সব নতুনত্ত্ব চিন্তা বাদ দিয়ে ইসলামের গোড়ার সঠিক ইতিহাস খুজে এবং সঠিক মুসলমান হতে চেষ্টা করা; সেই রকম ভাবে যেমন আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন কোরআনের ২:১৩২#‘এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না’। এবং ৩:১০২#‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না’। মানুষকে দেখানো নয় নিজকে জানার জন্য, আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়া এবং রাছুল সা. এর সাফায়্যাত লাভের জন্য।
লেবাসের মুসলমান নয় আকিদার মুসলমান হওয়া দরকার। যেমন মালেক বীন মারোয়ান এর মত মুসলমান, লোক দেখানো নামাজী আর কেউই ছিল না। সে সকলের আগে মসজিদে যেত এবং সকলের পরে বের হতো। এই সুযোগে মসজিদের মধ্যে যে যাই আলোচনা করতেন তাকে বিশ্বাস করেই কেউ কিছুই গোপন করতেন না। তার আমলে ইয়াজিদের উমাইয়া বাহিনী মদীনা আক্রমন করে এবং সমস্ত গোপন খবরই মালেক বীন মারোয়ান কাছে থেকে নিয়ে আক্রমনে পূর্ণ সুবিধা ভোগ করে ইয়াজিদ।
মন্তব্য চালু নেই