কোথাও নেই পার্থ !
রাজনীতির মাঠে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বি নেতা। তরুন প্রজন্মের জনপ্রিয়, রাজনৈতিক মঞ্চ ও সেমিনারে জ্বালাময়ী বক্তব্য, ফেসবুকে আলোচিত স্ট্যাটাস দিয়ে বেশ আলোচিত ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। কিন্তু অনেক দিন ধরে রাজনীতির মাঠ, ইফতার অনুষ্ঠান, টকশো, ফেসবুক- কোথাও তার কোন দেখা মিলছেনা। স্বাভাবিক ভাবেই সবার মনে প্রশ্ন কোথাই গেলেন এই তরুন নেতা?
তার দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ (বিজেপি) ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না কোথায় আছেন পার্থ, কেনই বা তিনি নেই প্রকাশ্যে।
দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতার দাবি, সরকারের চাপের কারণে তিনি (পার্থ) প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না। কারণ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হওয়া নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ নিয়ে তিনি অনেকটা চিন্তিত বলেও জানা গেছে।
অবশ্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিগত সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের গোটা সময়জুড়ে তরুণ এই রাজনীতিক অনেকটা ‘নিখোঁজ’ ছিলেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে যখন বিএনপি ও জোটের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন, তখন তিনি নিরাপদে বিদেশে অবস্থান করেন এমন খবরও আছে। ওই সময় পার্থ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে থাইল্যান্ডে অবস্থানের ছবিও পোস্ট করেছিলেন, যা তখন ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
গুঞ্জন আছে, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিএনপি বা জোটের শরিক দলগুলোর অন্য নেতাদের চেয়ে কম ঝুঁকি মোকাবিলা করছেন। অবশ্য জোটের কর্মসূচিতে অংশ না নেয়াসহ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিনি নিরাপদে থাকতে পারছেন বলে জোটের একাধিক শরিক দলের নেতারা মনে করেন।
পার্থ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলালের মেয়ের জামাই। এবার রমজানের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দেখা নেই পার্থর। বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের ধারণা ছিল, ইফতার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিনি হয়তো প্রকাশ্যে আসবেন। কিন্তু গত ১১ জুন রাজনীতিবিদদের সম্মানে খালেদা জিয়ার ইফতার ছাড়া আর কোথাও তাকে দেখা যায়নি।
তবে শরিক দলগুলোসহ বিএনপিমনা কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের ইফতারে তার দলের প্রতিনিধি দেখা গেছে। এসব অনুষ্ঠানে বেশি দেখা গেছে বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাউদ্দিন মতিন প্রকাশকে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশেই আছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। রমজানজুড়ে বেশির ভাগ সময় বাসা আর গুলশানে নিজের প্রতিষ্ঠিত আইন কলেজ ব্রিটিশ স্কুল অব লতে সময় দিচ্ছেন। রাজনীতির মাঠ, ইফতার অনুষ্ঠান, টেলিভিশন টকশোতে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছেন নিজেকে।
মন্তব্য চালু নেই