কোকোর মৃত্যু আন্দোলনে প্রভাব ফেলবে না
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতেও ২০ দলীয় আন্দোলনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত বেগম জিয়াকে সমবেদনা জানানোর পর শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘এ মুহূর্তে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রস্তাব স্বাভাবিক নয়। তাই আমরা আশা করছি আন্দোলন চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। কোকোর মৃত্যুতে আন্দোলনে কোনো ভাটা পড়বে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তবে তিনি শোকাহত। আমরা সবাই শোকাহত খালেদা জিয়ার পাশে আছি।’
এদিকে কোকোর মৃত্যুর সংবাদের পর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছুটে যায় নিকটাত্মীয়রা। আরাফাতের শাশুড়িসহ ওই পরিবারের সদস্যরাও বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে।
ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ ও তার স্ত্রী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা গিয়াস কাদের চৌধুরী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাৎ কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সদরুল আমিন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ।
শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার দিকে কার্যালয়ে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল নেমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ, কামাল ইবনে ইউসুফ, খন্দকার তৈমুর আলম, শাহ মোয়াজ্জেম, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম আবেদও উপস্থিত হন।
আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন খালেদা
গণতন্ত্র ও আইনের স্বার্থে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার সন্ধ্যায় সদ্য সন্তান হারানো এই মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীকে দোয়া করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।’
কোকোর মরদেহ কবে আনা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি সেখানে যাওয়ার পর পারিবারিকভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
মন্তব্য চালু নেই