কোকাকোলায় ক্ষতি যতো
কোমল পানীয় হিসেবে সারা বিশ্বেই কোকাকোলার জনপ্রিয়তা রয়েছে। এশিয়া থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে আমেরিকা সব অঞ্চলের মানুষের কাছে খুবই পছন্দের একটা পানীয় কোকাকোলা। সংক্ষেপে এ পানীয়টি কোক নামে পরিচিত।
ভরপেট খেয়ে বা গরমে ক্লান্ত শরীরে কোক পান করার পর আপাত একটা শান্তি হয়তো বয়ে যায়। কিন্তু এই পানীয়টি আসলে শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা নিয়ে ভাববার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ কোকে রয়েছে ফসফরিক অ্যাসিড। আর এই অ্যাসিড মানুষের খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর আবরণের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো এর ফলে মানুষের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
কোকাকোলা পান করার ফলে শরীরে মারাত্মক যে পাঁচটি ক্ষতি হতে পারে-
১. কোকাকোলা মানব শরীরের কোষের ক্ষতি করে; যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
২. কোমল পানীয় পান করার পর মানুষের ঢেঁকুড় ওঠে। এরফলে খাদ্যনালীতে অ্যাসিড ঢুকে পড়ে। অনেকের মধ্যে এমন বিশ্বাস রয়েছে যে, খাওয়ার পর কোকাকোলা হজমে সাহায্য করে। আসলে বিষয়টা প্রায় সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ, কোকাকোলা অ্যাসিড রিফলাক্স রোগের জন্ম দিতে পারে। যার ফলে বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৩. কোকোকোলা বা এই জাতীয় কোমল পানীয়গুলোর কারণে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যা পাকস্থলী ও এর আশপাশের টিস্যুগুলোকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে নষ্ট করতে শুরু করে। আর এর কারণে পাকস্থলির ক্ষতি হয়।
৪. কোকাকোলায় থাকা কার্বন পাকস্থলির স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। তবে স্বাভাবিকভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাকস্থলি রক্ত থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করে। এর ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। রক্ত আবার সেই অভাব হাড় থেকে পূরণ করে। রক্ত যদি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম না পায় তবে মাংসপেশী ও মস্তিষ্কের কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটবে।
৫. কোকাকোলায় থাকে ফসফরিক অ্যাসিড হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যার ফলে মানুষ অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই