কেমন রোদচশমায় আপনি স্মার্ট

রোদের তাপ, বাতাসে থাকা ধুলা বালি এবং রোগ জীবানুর সংক্রমণ এড়াতে উপকারী সহায়কের নাম হল রোদচশমা। কেউ কেউ রোদচশমায় এতোটা অভ্যস্ত যে, খালি চোখে বাইরে বেরই হতে পারেন না। এটি শুধু উপকারী অনুষঙ্গ নয়, স্টাইলিশও বটে। আপনাকে একটা স্মার্ট লুক দিতে উপযুক্ত রোদচশমার তুলনা হয় না। প্রিয় মানুষটার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হিসেবে।

এতো সব সুবিধা ভোগ করার জন্য রোদচশমা বাছাইয়ের আগে একটু সর্তক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আপনার চেহারার সঙ্গে মানানসই রোদচশমা বেছে নেয়াটা খুব জরুরি। নইলে টাকা খরচ করে কিনেও নিজেকে ঠিক সেভাবে উপস্থাপন সম্ভব হবে না। তাই দেখে নেয়া যাক কেমন রোদচশমা আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন স্মার্ট পুরুষ।

চারকোনা মুখ

চ্যাপটা চোয়াল বা গালের হাড় চওড়া হলে গোল ফ্রেমের চশমা ভালো দেখায়। তবে আপনার পছন্দ মতো ছোট বড় যেকোনো আকৃতির গোল ফ্রেম নিতে পারেন। চেহারার সঙ্গে চশমার সৌন্দর্য মিলে আপনাকে বেশ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন দেখাবে।

গোলাকৃতির মুখ

গোল মুখে নতুনত্ব আনতে আপনাকে বেছে নিতে হবে উপযুক্ত একটি চশমা। এমন একটি চশমা নিতে হবে যা আপনার মুখের চেয়ে দুই পাশে সামান্য বড় থাকবে। এটি আপনার মুখকে স্লিম এবং লম্বাটে দেখাবে। তাই চশমাটি যেন চোখের সঙ্গে লেগে থাকবে আবার মুখের দুই পাশে একটু ছড়ানো থাকে।

আয়াতকার মুখ

প্রথমেই আপনার মুখের আকৃতির ওপর ধারণা নিয়ে নিন। আপনার মুখটি যদি লম্বালম্বি আয়াতকার হয়ে থাকে তবে তাকে চশমা দিয়ে পাশে বাড়ানোর চেষ্টা করার দরকার নেই। গোল বা চারকোণো ফ্রেমই আপনার মুখের জন্য মানানসই। চশমার অবস্থান যেন চোখ ছাড়িয়ে বাইরে না যায়। এবার পছন্দমতো একটি চশমা কিনে পরতে পারেন নিশ্চিন্তে।

ডায়মন্ড আকার

এই ধরণের মুখ উপরের দিকে চওড়া এবং থুতনির ‍দিকে সুচালো হয়। চোয়ালের হাড় চওড়া হয়ে দুই পাশে অপেক্ষাকৃত মোটা দেখায়। এমন মুখে চারকোণা ফ্রেমের রোদচশমা ভালো মানায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চশমাটি যেন মুখের সঙ্গে একদম ঠিক মাপের হয়। মুখ থেকে ছড়িয়ে বাইরের দিকে বেশি থাকলে মুখের আকৃতি আরও বড় দেখাবে।

উপবৃত্তাকার আকৃতি

এই ধরনের মুখের উপরের দিক এবং নিচের দিক একই রকম গোল হয়। তবে মুখটি লম্বাটে হয়ে গোল হয়। এই ধরণের মুখে যেকোনো রকম চশমা মানিয়ে যায়। তাই আপনার পছন্দ এবং পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিন পছন্দের রোদচশমা।

সতর্কতা

– অনলাইন থেকে দেখে কখনো রোদচশমা কেনা ঠিক হবে না। কেনার আগে অবশ্যই নিজের চোখে লাগিয়ে মানানসই কিনা যাচাই করে নিতে হবে। নইলে চশমাটা কেনা একদমই বৃথা হয়ে যেতে পারে।

– আপনার পোশাক, গায়ের রঙ, চুলের রঙ, চুলের কাট এবং পরার ক্ষেত্র অনুযায়ী চশমা বেছে নিতে হবে। রোদচশমার রঙ এবং ডিজাইন সবই যেন উপযুক্ত হয়।

– স্পোর্টস গ্লাস গুলো শুধু স্পোর্টসের সময়ই ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

– মোটামুটি একটু ভালো মানের রোদচশমা কেনা ভালো। যাতে চোখে খারাপ প্রভাব না ফেলে।

– যারা পাওয়ারফুল চশমা ব্যবহার করেন, রোদচশমাতেও পাওয়ার লাগিয়ে নিন। তাহলে রোদচশমা ব্যবহারেও শান্তি পাবেন।



মন্তব্য চালু নেই