কেন পোশাকের রঙয়ের কথা মাথায় রাখবেন
ফ্যাশনে বা স্টাইলে রঙ অনেক জরুরি বিষয়। তাই আমাদের হাল ফ্যাশনে কি ধরণের পোশাক পরছেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পোশাকের রঙ। একজন ব্যক্তি ফ্যাশনের ক্ষেত্রে কতটা সচেতন তা কিন্তু তার পোশাকের রঙের উপরেই নির্ভর করে। আপনার ব্যক্তিত্ব বহন করে আপনার পোশাকের রঙ। তাই জেনে নিন কোন অনুষ্ঠানে কি রঙের জামা আপনাকে বেশি মানাবে।
১. ফ্যামিলি পার্টিতে একটু তুলনামূলক উজ্জ্বল রঙের পোশাকই আপনাকে বেশি ভাল মানাবে। গ্রীষ্ম কালে রাতে অনুষ্ঠান থাকলে হালকা রঙের পোশাক আপনারে বেশি ভাল মানাবে। এক্ষেত্রে হালকা মেরুণ, গাঢ় আকাশী, ম্যাজেন্ডা, সিলভার, বটল গ্রিন, ডিপ পিঙ্ক রঙের পোশাক এক্ষেত্রে পরতে পারেন।
২. বাইরে বেড়াতে গেলে সাধারণত সেখানে অবশ্যই বেশ কিছুদিন কাটাবেন। তাই এক্ষেত্রে একেবারে হালকা রঙের পোষাকই সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে যদি হালকা রঙের পোশাক পরেন তবে এতে আপনাকে অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত বলে মনে হবে।
৩. অফিস যাওয়া মানেই যাতায়ের ঝক্কি। তাই এক্ষেত্রেও হালকা রঙের পোশাকই ভাল। কারণ গরম আবহাওয়া আপনাকে বিধ্বস্ত করে তুলতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সাদা, আকাশী, ঘিরে, হালকা গোলাপী, ইত্যাদি রঙকে বেশি প্রাধান্য দিন৷ অফিসে ফরমাল পোশাক পরতে হলেও সেক্ষেত্রেও এই রংগুলো হতে পারে আইডিয়াল।
৪. কলেজ ক্যামপাস মানেই ছাত্র ছাত্রীদের ফরমাল পোশাক পরতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যাম্পাসে সময় থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। তাই হালকা রঙের পোশাক পরলে এক্ষত্রে আপনাকে যেমন মানাবে তেমনই আপনি আরামও বোধ করবেন। এক্ষেত্রে হালকা সবুজ,সাদা, ছাই, গোলাপী, ঘিরে রঙের পোশাক পড়তে পারেন৷ হালকা রঙের পোশাক পরলে গরম আবহাওয়া হলেও আপনার গরমে অস্বস্তি কম অনুভব হবে।
৫. তরুণ প্রজন্মের কাছে আড্ডা মারা মানেই একটি উৎসবের মত। কিন্তু আড্ডা মূলত সন্ধ্যাবেলাতেই জমে। তাই সেক্ষেত্রে একটু উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা যেতেই পারে। তবে সাদা বা ক্রিম রঙও হতে পারে আইডিয়াল। এছাড়াও তুতে, হলুদ, হালকা সবুজ, বাদামী রঙের পোশাক বেশ ভাল মানায়।
অন্যান্য টিপস:
১. গায়ের রং, উচ্চতা ও ওজনের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরুন।
২. অনেকের থাই মোটা হতে পারে সেক্ষেত্রে টাইট সেলোয়ার না পরে পাতিয়ালা ব্যবহার করতে পারেন৷ লেগিংস এড়িয়ে চলতে পারেন।
৩. যাদের হাত মোটা তারা হাতা লং বা থ্রি কোয়ার্টার স্লিভ জামা পড়ুন। স্লিভ লেস বা ছোট হাতা একেবারেই পরবেন না।
৪. আপনার শরীরের গড়ন মোটা হলে শাড়িতে কুঁচি কম দিয়ে আঁচল বড় রাখুন। চেহারা স্লিম হলে শাড়িতে সরু করে অনেকগুলো কুঁচি দিয়ে পরুন।
৫. যারা মোটা তারা ব্লাউজের ক্ষেত্রে ছোট প্রিন্ট বা স্ট্রেট চেক কাটের থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ পরুন।
৬. যাদের কাঁধ চওড়া তারা ব্লাউজ বা চুড়িদারে ভি শেপের গলা দিতে পারেন। এতে আপনাকে বেশি মোটা বলে মনে হবে না।
মন্তব্য চালু নেই