কেন অতিরিক্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা উচিত নয়
সকলেই বলেন ‘ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ’। কিন্ত মূল কথাটি একটু ভিন্ন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মূল কথাটি হবে এমন, ‘ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ, তবে তা অবশ্যই অতিরিক্ত নয়’। কারণ অতিরিক্ত অনেক কিছু আগে থেকে ভেবে রাখলে তা নিয়ে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি নিজেই। প্রতিটি বিষয়েরই কিছু সীমা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এই ব্যাপারটিও ব্যতিক্রম কিছু নয়।
১. আপনার অতিরিক্ত ভবিষ্যৎ ভাবনা বর্তমানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে :
যখন আমরা কোনো সুখকর ব্যাপারে ভাবতে থাকি তখন আমাদের সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় তা আমরা টেরও পাই না। আপনি যদি আগ বাড়িয়ে ভবিষ্যতের ভাবনা শুধু ভেবেই চলতে থাকেন তখন তার প্রভাব পড়বে আপনার বর্তমানের সময়ের ওপর। এতে করে ক্ষতি হবে আপনার নিজেরই। তাই আগ বাড়িয়ে এতো কিছু না ভেবে যতোটা প্রয়োজন ততোটাই ভাবুন।
২. অতিরিক্ত ভবিষ্যৎ ভাবনা বর্তমানের খুশি কেড়ে নিতে পারে :
ভবিষ্যতে আপনি এই কাজটি করবেন, সেই কাজটি করবেন এতো কিছু ভেবে যদি নিজের বর্তমানের কিছু ছোটো খুশি যা আপনি অনায়াসেই পূরণ করতে পারেন তা বাদ দিয়ে ফেলেন তবে আপনি নিজেকেই নিজে বঞ্চিত করছেন সুখী হওয়া থেকে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা ভালো, কিন্তু তা যদি আপনার বর্তমানের সুখ একেবারেই কেড়ে নেয় তবে তা অবশ্যই ভাবনার বিষয়।
৩. অতিরিক্ত ভবিষ্যৎ ভাবনা প্রভাব ফেলে আপনার আত্মবিশ্বাসের ওপর :
মানুষ যখন কোনো একটি কাজ করার পরিকল্পনা করে রাখে তখন তার মনে আশার সঞ্চার ঘটে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনাবশত যদি কাজটি না হয় তখন তার খুব খারাপ প্রভাব পড়ে মন এবং আত্মবিশ্বাসের ওপর। এটি পুরোপুরি মানসিক একটি ব্যাপার। তাই এমন কিছু পরিকল্পনা করে বসে থাকবেন না যার বাস্তবিক রূপ আপনি নাও পেতে পারেন। এতে করে আপনি নিজেই হারাবেন নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস, যা আপনার জীবনের জন্য ক্ষতিকর।
৪. আপনি শুধুমাত্র বর্তমানটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ভবিষ্যৎ নয় :
আপনি যদি চান তবে বর্তমানের সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন কিন্তু ভবিষ্যতের সব কিছুই আপনার কাছে একেবারে অজানা। তাই পুরোপুরি অন্ধকার একটি সময়ের জন্য এতো কিছু পরিকল্পনা না করে বর্তমানটাকে উন্নত করার কাজে সময় ব্যয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মন্তব্য চালু নেই