কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রমে অর্থমন্ত্রণালয়ের ক্ষোভ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির এক মাস পার হলেও মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছে অর্থমন্ত্রণালয়।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রণালয়ে সচিব এস আসলাম আলম।

তিনি বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থমন্ত্রণালয়কে কিছু জানানো হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি এবং কোন আলোচনাতেও আনেনি। অডিট কমিটির দুটি মিটিং এ আমি ছিলাম সেখানেও বিষয়টি আলোচনা করা হয়নি।’

কেন অর্থমন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি এ বিষয়ে তিনি জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এখন বলছে তারা বলছে তদন্ত করে পুরো বিষয়টি জানাবে। কিন্তু আমি তো মনে করি আমাদের বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন ছিল। এতে মন্ত্রণালয় সন্তুষ্ট নয়। আজকে আমি বিষয়টি জানতে এসেছি। তথ্য উপাত্ত নিয়ে গেলাম। রিপোর্ট তৈরি করে এটি অর্থমন্ত্রীকে জানাবো। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’

সচিব বলেন, ‘গভর্নর দেশের বাইরে রয়েছে, সোমবার হয়তো তিনি দেশে আসবেন। পরদিনই (১৫ মার্চ) জরুরিভিত্তিতে বোর্ড সভা ডাকতে বলা হয়েছে তাদেরকে। সেখানে কেন অর্থমন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।’

বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা চুরির বিষয়ে কতটুকু জানিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রীলংকা থেকে যে টাকা ফেরত আনা হয়েছে তা রিজার্ভ ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়ে গেছে। আর ফিলিপাইন থেকেও কিছু টাকা আনা হয়েছে। সেখান থেকে ৬৮ হাজার ডলার ফেরত আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বাকি অর্থ ফেরত পেতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

তবে টাকা চুরির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি দুর্বলতার কারণে রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে করে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সারা খাতেই আইটি নিরাপত্তা একটি বড় বিষয় বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই