কেনাকাটার ধরন বদলাতে দোকান খুলছে অ্যামাজন
দৈনন্দিন ও প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। দিনকে-দিন এটা আরো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে। এরইমধ্যে ইন্টারনেটের এই যুগে আজকাল অনলাইন কেনাকাটার সঙ্গে প্রায় সবাই পরিচিত হয়ে উঠছেন। কিন্তু বাস্তবে দোকান খুলে প্রযুক্তির সাহায্যে কেনাকাটার ধরনই বদলে দিতে এবার আটসাট বেঁধে নামছে জায়ান্ট ই- শপ অ্যামাজন ডট কম।
২০১৭ সালের শুরুর দিকেই অ্যামাজন সিয়াটলে নিজেদের দোকান খুলতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত এ প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এই দোকানের কার্যক্রম হবে গতানুগতিক দোকানগুলোে থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
অ্যামাজনের এই দোকানে এসে একজন ভোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে ‘অন অ্যারাইভাল’ ট্যাপ করবেন। গ্রাহককে শনাক্ত করতে স্মার্টফোনের অ্যাপে একটি কিউআর কোড দেখানো হবে। আর এই কোড স্ক্যান করলে দোকানটি নিজেই বুঝে নেবে ভেতরে একজন ক্রেতা প্রবেশ করেছেন।
দোকানে প্রবেশের পর গ্রাহক কী পণ্য নিচ্ছেন সেটি ক্যামেরা এবং সেন্সরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা হবে। আবার গ্রাহক যদি কোনো পণ্য তাক থেকে উঠিয়ে আবার সেখানে রেখে দেয় তবে সেটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি ডিপ লার্নিং মেশিনের সহায়তায় শেষ হবে এবং কেনাকাটা শেষ হলে অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেয়ে যাবেন ক্রেতা। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে হবে ক্রেতাকে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের দুই হাজার দোকান খোলার পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন। জ্যাকড রিসার্চের বিশ্লেষক জান ডসন বলেন, ‘এ ধরনের শত শত দোকান চালু হলে সেটি সুপারমার্কেট চেইনের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি অ্যামাজন কর্তৃৃপক্ষের। তবে এমন দোকান নিঃসন্দেহে সুপারমার্কেটগুলোর ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
অ্যামাজনের প্রযুক্তিনির্ভর এই দোকানের কার্যক্রম কেমন হবে দেখুন এই ভিডিওতে- অ্যামাজন গো।
সূত্র: বিবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
মন্তব্য চালু নেই