কুড়–লগাছির কৃতি সন্তান ভাষা সৈনিক কায়জার মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম সংগঠক

শামীম রেজা, চুয়াডাঙ্গা থেকে: ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চাই। ৫২’র মা মাটি ও মানুষের ভাষার আন্দোলনে জব্বার, রফিক, শফিকের বুকের রক্তে লেখা বাংলা বর্ণমালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর নৈপথ্যে আরো নাম না জানা অজানা ভাষা সৈনিকের শ্রম মেধা ও আত্ম ত্যাগের মহিমা জড়িত আছে যা আজে অজানাই রয়ে গেছে। কালের বিবর্তনের ধারা বাহিকতায় সেই নাম না জানা দলের অনেকের নাম বাস্তবতার নিরিক্ষে উঠে আসতে শুরু করেছে। সুপ্রিয় পাঠক আপনাদের জ্ঞাতার্থে এমনি একজন ভাষা সৈনিকের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই যিনি কুড়–লগাছি ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ৭১এর মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম সংগঠক মুর্তিমান শিক্ষাবিদ ভাষা সৈনিক আব কায়জার। যার জন্ম ১৯২৩ সালে। ভারত বর্ষের পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার কোমরপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। যার পিতার নাম প্রয়াত ফরজ আলী। ১৯৫০ সালে মাতৃভূমি ভারত ছেড়ে বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তভুক্ত কোর্টচাদপুর গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। সে সময় চলছিল বাংলা ভাষার দাবীতে প্রানান্ত আন্দোলন। অত্র অঞ্চলের প্রধান সংগঠক হিসাবে এলাকার খ্যাতনামা আওমী মুসলিম লীগের তরুন নেতাদেরকে একত্রিত করে ভাষা আন্দোলনকে উত্তোরত্তর বেগবান করতে আত্ম নিয়োগ করেন। সে সময় তদানিন্তন কেন্দ্রিয় ভাষা আন্দোলনের সংগঠকদের সাথে যোগাযোগ করে এ আন্দোলনকে প্রতিষ্ঠা দেয়। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী যখন যা হওয়া উচিত সেই সমস্ত কর্মকান্ডে অগ্রনি ভূমিকা পালন করে এসেছে ভাষা সৈনিক আব কায়দার। শিক্ষা জীবন বলতে বলা যায় ১৯৫০ সালের দিকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে বিএ পাশ করার করেন । সে সময় তিনি কুড়–লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করতেন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের সর্বস্তরের সুশিক্ষিত করার নিমিত্তে সু-শীল সমাজ গড়ার অন্যতন কারিগর । পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে জেলা অন্যতম নেতা হেবা ডাক্তারের নেতৃত্বে এলাকার অন্যান্ন বন্ধুদের সাথে একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ সংগঠক হিসাবে নিজেকে সোপর্দ করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পর পর ৩ বার কুড়–লগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাতি হয়ে এলাকার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন।বর্তমানে তাঁর বয়স শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়েছে। তার পরেও তিনি কলম ছাড়েন নি। অসুস্থতার মধ্যদিয়েও লেখা লেখির মধ্য দিয়ে তার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। এক প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করা হয় সে আপনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত হয়নি কেন? উত্তরে বলেন সে সময়ের সব নেতারাই তো আমাকে চেনে আমি কার কাছে গিয়ে তালিকা ভুক্ত হব। আর ভাষা সৈনিক হিসাবে পরিচিতি পাই নাই তার অন্যতম কারন হল আজকের মিডিয়ার যুগ। গণমাধ্যমের সুফল ভোগ করছে জনগন। ইতিপূর্বে এই ধরনের সুযোগ সুবিধা ছিল না । এক কথায় অনুকুল পরিবেশ না থাকার কারনে সেই আবস্থানে আমি অবস্থিত হতে পারি নাই। তার পরিবারের ইচ্ছা শেষ বয়সে এসে যদি তাকে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকের তালিকায় অন্তভূক্ত করা হয় তাহলে তাহলে সে তার জীবদ্দশায় কিছু না হলেও একটু খানি তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারবে এমনটাই



মন্তব্য চালু নেই