কুড়িগ্রামে বিলুপ্ত ছিটমহলে স্থায়ী শহীদ মিনারে একুশ উদযাপন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম বিলুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের দাসিয়ারছড়ায় নবনির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে পেরে খুশি এলাকার সর্বস্থরের মানুষ। মঙ্গলবার সকালে দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজার সংলগ্ন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিবসের সুচনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্র নাথ ঊরাঁও। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর-রশিদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিলুপ্ত ছিটের সাধারণ মানুষ।
সাবেক ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের নেতা গোলাম মোস্তফা জানান, প্রথমবারের মত স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার অধিবাসিরা। এর আগে আমাদের নির্দিষ্ট কোন শহীদ মিনার ছিল না। এখন সবাই একত্রিতভাবে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জনাতে পারবো। ফলে আমরা ভীষণ আনন্দিত!
দাসিয়ারছড়া সমন্বয়পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশেদা, রিতু এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলপনা ও রিপন জানায়, বিগত বছরগুলোতে কলাগাছ কিংবা বাঁশের ফালি দিয়ে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হতো। একটি স্থায়ী শহীদ মিনারের প্রত্যাশা সবসময়ই ছিল। সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়ার জন্য।
সরকারিভাবে নব-নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্রনাথ ঊরাঁও জানান, অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার বাংলাদেশী নতুন নাগরিকরা যেন বাঙ্গালী চেতনা, ইতিহাস ধারণ ও লালন করতে পারে সেজন্যই তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়া হয়। দাসিয়ারছড়ার আগামী প্রজন্ম বাংলা ভাষা অর্জনে আমাদের গৌরবান্বিত ইতিহাস জানতে পারবে ও তা ধারণ করতে পারবে এটাই সরকারের প্রচেষ্টা।
মন্তব্য চালু নেই