কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি : নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্লাবিত হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। ধরলা নদীর প্রবল স্রোতে জেলা সদরের বাংটুর ঘাট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩০ মিটার বাধ ধ্বসে গেছে।

এছাড়াও নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাংটুর ঘাট এলাকার মজিবর রহমান জানান, সকাল থেকে পানির তীব্র স্রোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর রক্ষা বাধে ভাঙ্গন শুরু হয়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রনে আনে।

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পাট, সবজি, কলা ও আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুর ও জলাশয়ের মাছ।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, উলিপুরের সাহেবের আলগা, হাতিয়া, চিলমারীর রানীগঞ্জ, অষ্টমীর চর, নয়ারহাটসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চরগ্রামগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের চরাঞ্চল গুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যে চরাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১০সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২২, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৩ ও চিলমারী পয়েন্টে পানি ২০সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই