কুড়িগ্রামে দূর্বৃত্তদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনায় ৩ শিবির কর্মী আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম শহরের পৌরসভার গাড়িয়ালপাড়া গ্রামের গড়েরপাড় এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী সরকার (৬৫) কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। তারা ৩জনেই ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটককৃতরা হলেন-কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার শিবিরের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান(২২),শিবিরের কর্মী শরিফুল ইসলাম(২০) ও সমর্থক জাহিদুল ইসলাম(১৮) ।তাদের প্রত্যেকের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলায় এবং তারা গাড়িয়ালপাড়ায় অবস্থিত একটি শিবিরের মেসে থাকত বলে জানা যায়।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জমির উদ্দিন জানান,তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন। ঘটনার সময় হত্যাকারীরা পরপর ৩ টি ককটেল নিক্ষেপ করে তম্মধ্যে ১টি ককটেল বিস্ফোরিত হলেও অপর ২টি ককটেল অবিস্ফোরিত রয়ে যায়। অবিস্ফোরিত ককটেল দুটির পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রংপুরের বোমা ডিসপোজাল বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যগণ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এসে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ বোমা দুটি উদ্ধার করেন। দলের বিশেষজ্ঞ প্রধান ক্যাপ্টেন হিশাম জানান,প্রাথমিকভাবে এগুলো ককটেলের চেয়েও ভারী ও শক্তিশালী। এদিকে,লাশ ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে হোসেন আলীর বাড়ির পাশে একটি চাতালের মাঠে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলাম,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বাতেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত হোসেন আলীর পুত্র রুহুল আমিন ্আজাদ জানান, আমার বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন।তার কোন শত্রু ছিল না। তবে রংপুরের মাহিগঞ্জ এলাকার পরিচয় দিয়ে আবুল বাশার নামে এক যুবক চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নেকসাস মোবাইল কোম্পানীতে চাকুরী করেন পরিচয় দিয়ে তাদের বাসা ভাড়া নেন। ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। সোমবার সকাল ১০টায় তিনি বাসায় এসে রুমের চাবী দিয়ে চলে যান।বাশারের মোবাইল নম্বরটি তার বাবার মোবাইলে সেভ করা থাকলেও কৌশলে তিনি তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে তার ফোন নম্বর ডিলেট করে দেন ।নিহতের ছোট ভাই কোকন আলী জানান, আমার ভাই ১৯৯৯ সালে মুসলিম ধর্ম থেকে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করেন।সেকারনে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে আমরা মনে করি। এ হত্যাকান্ডের আমরা সুবিচার চাই।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তরারক উল্ল্যা জানান, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও খুনের রহস্য উদঘাটন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভবপর হবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই