কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বন্যায় পানিবন্দি শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন রৌমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার বন্যা দুর্গত মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করলেও সেখানে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সাহায্য দেয়া হয়নি। সর্বশেষ মঙ্গলবার সুতিরপাড়ের জামে মসজিদের সামনে পাহাড়ী ঢলের পানির তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে।

অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠায় স্কুল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাইটাকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের মাঠে হাটুও বেশী পানি। মাঠে পানি থাকায় শিক্ষকরা এসে হাজিরা দিয়ে চলে যাচ্ছেন। বন্যার কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে জেএসসি-পিএসসির পরীক্ষার্থীরা।

বন্যারৌমারী উপজেলা বন্যা কবলিত দুর্গত মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানির কারনে হাট-বাজারে যেতে না পারায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। টানা দিন ধরে বন্যা হলেও মঙ্গলবার পর্যান্ত সরকারী ভাবে কোন ত্রান বিতরণ করা হয়নি।

এদিকে, গত সোমবার দুপুরে তীব্র স্রোতে চরইটালুকান্দায় পাউবোর (পানি উন্নয়ন বোর্ড) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। একই সঙ্গে দাঁতভাঙা সালুর মোড় বেড়িবাঁধের দুই স্থান ধসে গেছে। এছাড়া রাজীবপুরের নয়াচর বাজার ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে এবং দিয়ারার চর ও নয়াচর মণ্ডলপাড়ায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই