কুলির ছেলে আইপিএল নিলামে বিক্রি হলো ৩ কোটি টাকায়
২৫ বছরের জীবনটা কয়েক লহমায় যেন বদলে গেল। সকাল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ রেখে অধীর অপেক্ষা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর নিলামে বেস প্রাইস ছিল ১০ লক্ষ টাকা।
কিন্তু দর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলল। শেষপর্যন্ত তা থামল ৩ কোটি টাকাতে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলে বাঁহাতি সিমার থঙ্গারাসু নটরাজনকে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। নিলামে বেস প্রাইসের প্রায় ৩০ গুণ সর্বোচ্চ দর হেঁকে অখ্যাত নটরাজনকে নিল পঞ্জাব।
এই তো বছর পাঁচেক আগেও সালেমে টেনিস বল খেলতেন রেল স্টেশনের কুলি-র ছেলে। মা রাস্তার ধারের একটি দোকান চালান। পাঁচ ভাই-বোনের সংসার বেড়ে ওঠা সেলিমের তখন আইপিএলে খেলার সুযোগ আসবে, এমন ভাবনাই অলীক ছিল।
পরে চেন্নাইতে এসে জনপ্রিয় জলি রোভার্স ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। আর এই ক্লাবেই খেলতেন আর অশ্বিন, মুরলী বিজয়ের মতো তারকারা। গত বছরের টিএনপিএলের প্রথম মরশুমে ডিন্দিগুল লায়ন্সের হয়ে চান্স পাওয়াটাই তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ব্রেক। এই টুর্নামেন্টেই আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলির কর্মকর্তাদের নজরে পড়েন তিনি। সেই সূত্রে এবারের আইপিএলের নিলামে নাম।
নিজের চোখ-কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিশেন না নটরাজন। সংবাদসংস্থাকে তিনি বললেন, অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। আইপিএল তো দূরের কথা তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে খেলার কথাও কোনওদিন ভাবতে পারিনি।
টিএনপিএলে খেলাটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ওই সময় প্রচুর চাপ ছিল। কিন্তু অশ্বিন, বিজয় ও বালাজী (তামিলনাড়ুর বোলিং কোচ) তাঁর মধ্যে ভালো খেলার বিশ্বাসটা এনে দিয়েছিলেন।
তাঁরা আমাকে আস্থা যুগিয়ে ছিলেন যে, আমি রঞ্জি ট্রফি খেলতেও পারি। রঞ্জিতে খেলার স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। এবার আইপিএলে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য ও ইচ্ছেমতো ইয়র্কার দেওয়ার ক্ষমতার জন্য তাঁকে তামিলনাড়ুর ‘মুস্তাফিজুর রহমান’ও বলা হয়।-এপিবি
মন্তব্য চালু নেই