কুরআনের তথ্য গোপনকারীরা অভিশপ্ত
আল্লাহ তাআলার কথা ও শরিয়তের বিধানাবলী গোপন করা মারাত্মক অপরাধ। মহান রাব্বুল আলামিন ঐ সকল অপরাধীদেরকে লানত করেছেন। আল্লাহ তাআলা যে সকল কথা কুরআনে অবতীর্ণ করেছেন তা গোপন করা এত বড় অন্যায় যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়াও ঐ সকল অপরাধীদেরকে অন্যান্য অভিশাপকারীরাও অভিশাপ দিতে থাকে। কুরআনের তথ্য গোপনকারীদের পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যারা আমার অবতীর্ণ উজ্জল শিক্ষাবলী ও বিধানসমূহ গোপন করে, অথচ সমগ্র মানবতাকে পথের সন্ধান দেবার জন্য আমি সেগুলো আমার কিতাবে বর্ণনা করে দিয়েছি। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ, আল্লাহ তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেন এবং সকল অভিশাপ বর্ষণকারীরাও তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৯)
পর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করেছেন, ইয়াহুদিরা কুরআন ও বিশ্বনবি সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখত এবং চিনত যেমনি ভাবে তারা তাদের সন্তানকে চিনতে পারত। তারপরও তারা কুরআন ও বিশ্বনবির সত্যতার ব্যাপারে তথ্য গোপন করেছে।
এ আয়াতে সত্য জ্ঞানের তথ্য গোপনকারীদেরকে ধমক প্রদান করে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে যারা সত্যকে গোপন করে তারা অভিশপ্ত।
যারা দুনিয়াতে সত্য জেনে শুনে গোপন করে এবং বোকা ও বধির হওয়ার ভান করে তাদের প্রতি প্রত্যেক জিনিসই অভিশাপ দিয়ে থাকে। পক্ষান্তরে দুনিয়ার প্রতিটি জিনিস ঐ আলেমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে যিনি মানুষের মাঝে আল্লাহর কথাসমূহ প্রচার করে থাকেন। এমনকি পানির মাছ এবং বাতাসের পক্ষীকূলও তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন।
হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শরিয়তের কোনো জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয় এবং সে তা গোপন করে, কিয়ামাতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সত্য প্রকাশের তাওফিক দান করুন। ছোট হোক বা বড় হোক শরিয়তের যে কোনো সত্য গোপন করা থেকে হিফাজত করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর লানত থেকে হিফাজত করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই