কুমিল্লায় অপহরণ কারীদের হাত থেকে মুক্তি পণের মাধমে রক্ষাপেল চাঁদপুরের যুবক

সুজন দাস, চাঁদপুর থেকে: গত সোমবার কুমিল্লা সরকারী মেডিক্যালে ডাক্তার দেখানেরা জন্য যান শাহরাস্তি উপজেলার এক যুবক। সে ডাক্তার দেখানের পরে বাড়ী আসার জন্য কান্দ্রির পাড় এলাকার খালি সিএসজিতে উঠে।

সিএনজিটি একটু সামনে গেলে অপরিচিত আরো ৪ ব্যাক্তি উঠে। আমাদের প্রতিনিধিকে যুবক জানান আমার দুই পাশে দুই জন সামনে দুই পাশে দুই জন উঠে। কিছু দূর যাবার পর সিএনজি ড্রাইভার তাদের নির্দেশ অনুযায়ি সিএনজি চালাতে বলে এবং আমার পাশে বসা দুই জন দুইটি ধারালো অস্র ধরে কোন কথা না বলার জন্য বলে।

আমি তখন চিৎকার দিতে চাইলে আমাকে গুলি করবে বলে হুশিয়ারি করে দেয়। আমি জান বাচাঁতে কোন কথা বললাম না । কুমিল্লা শহর থেকে পূর্ব দিকে সিএনজিটি গ্রামে কাচা রাস্তি দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভিতরে নিরিবিলি এলাকায় নিয় আমার কাছে থেকে নগদে ৫০০০ হাজার ও ব্যবহিত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। এবং সিএনজির ড্রাইভার কে মারধর করে ৫০০ টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

এরপরে প্রথমে একটি চায়ের দোকানে বসায়। মাঠে কৃষকেরা কাজ করে। যে যার মতো ব্যাস্ত আমি মাঝে মাঝে কাউকে ডাকতে চাইলে আমাকে মার ধর করে। তার পরে ঐ দোকান থেকে বেড় করে। আরো একটি বাগানে আমাকে নিয়ে যায়। স্থানটি সম্ভাবত ভারতে সীমান্তী সেখানে কাটা তারের বেড়া দেখা যায়। আমাকে যে চার জন এনেছে তারা অন্য লোকদের কাছে প্রায় আরে ৭ থেকে ৮ জননের নিকট হস্তান্তর করে তার চলে যায়।

এবার এরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে আমার বাড়িতে কে কে আছে তা জানতে চায়। আমি তাদের কাছে আমার পরিবারের পরিচয় গোপন রাখি। আমি বলি আমার বাবা মা কেউ নেই। শুধু মাত্র খালাতো ভাই আছে তার কাছে আমি বড় হই। তারা আমার বলে তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে খালাতো ভাইরে নিকট মুক্তিপান হিসাবে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপান দাবি করে। আমি অনেক অকুতি মিনতি করি আমার বাড়ি ঘর বিক্রকরে এত টাকা দিতে পারবে না বলে বার বার বলি।

তখন রাত হয়ে আসছে আমার খালাতো ভাই তাদের দেয়া এই ০১৬৭৩৩১৪৬৯৬ বিকাশ নম্বারে বিশ হাজার টাকা মুক্তি পণ পাঠালে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পাই আমি। কুমিল্লা বেশি কিছু স্থানে এই ভাবে সংক্রিয় হয়ে উঠেছে অপহরণকারীরা এদের সাথে বড় বড় সন্ত্রাসীরা জরিত রয়েছে। কুমিল্লা প্রশাসন এই ব্যাপারে নজর দিবেন বলে সচেতন হলে সাধারণ মানুষেরা মনে করেন।



মন্তব্য চালু নেই