কুমির শিখছে কম্পিউটার ও বাইক চালানো (ভিডিও সহ)
মানুষের পোষা জীবজন্তুর তালিকায় অনেক কিছুই আছে, কিন্তু কুমির নেই। এই না থাকার পেছনে কারণও আছে। কুমির পুষতে গেলে কুমিরের পেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। মানুষ তার সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের বিশ্বাস করে না। কিন্তু মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। কুমিরও হতে পারে মানুষের বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এক নারী এই অসাধ্য সাধন করেছেন। কুমির যে পোষ মানার প্রাণী না – মানুষের এই ধারণা তিনি বদলে দিতে চান।
ফ্লোরিডার লেকল্যান্ডের বাসিন্দা ম্যারি থর্ন একজন মুষ্টিযোদ্ধা। তার ১৫ বছর বয়সি পোষা কুমিরের নাম ‘র্যাম্বো’। তিনি দাবি করেছেন, র্যাম্বো মোটেও কুমির নয়, বরং তার পরিবারেরই একজন সদস্য।
র্যাম্বোর দৈর্ঘ্য ৬ ফিট। সে অন্য সব কুমিরদের মত জলে-ডোবায় শুয়ে বসে দিন কাটায় না। তার হাবভাবই অন্যরকম। সে জ্যাকেট গায়ে দিয়ে মানুষের মত ৪ চাকার এটিভি বাইক চালাতে পারে। কম্পিউটার মনিটরের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকে যেন জটিল কোনো চিন্তামগ্ন। কেউ তার সাথে সাংকেতিক ভাষায় কথা বললে সেটা বুঝতে পারে এবং যেখানে সেখানে বাথরুম করে রাখে না। তার কাজকর্ম ভদ্রলোকের মত।
তাকে নিয়ে তার মালিক থর্নের গর্বের শেষ নাই। তিনি তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘র্যাম্বো যতটা না কুমির তার চেয়ে বেশী মানুষ।’ থর্নের খুশির কারণেই বোধ হয় তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব ব্যাপারটা জেনেশুনেও মেনে নিয়েছে।
সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় কুমির ১১ ফিট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে এবং ওজন হতে পারে প্রায় আধ টন। যেহেতু তাদের বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন, সে কারণে ফ্লোরিডার বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে র্যাম্বোকে চাওয়া হয়েছিল থর্নের কাছে। থর্ন রাজি হন নি।
থর্ন তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, প্রথমে তার কাছে মোট ৪টি কুমিরের বাচ্চা ছিল। কিন্তু এদের মধ্যে কেবল র্যাম্বোই বেঁচে গেছে। কুমিরকে যেভাবে দেখাশোনা করা উচিৎ তিনিও এদেরকে ঠিক সেভাবেই দেখেছিলেন। কিন্তু ৩টি কুমির মারা যায় সূর্যের আলোর সংবেদনশীলতা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে। একমাত্র র্যা ম্বোই বেঁচেছে বিশেষ যত্নের কারণে। র্যাম্বোকে তিনি যত্ন করেছেন মানুষের মত।
তিনি মনে করেন সংরক্ষণ কেন্দ্রের পাঠালেই বরং র্যাম্বো বাঁচবে না। তবে ঘরের মধ্যে জ্যান্ত একটি কুমির থাকাটা যে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে সেটা থর্ন জানেন। কিন্তু পাত্তা দেন না। তিনি নাকি র্যা ম্বোকে দাঁত দিয়ে কামড়ে মানুষকে আহত না দেয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
থর্ন বলেন, ‘র্যাম্বো শিশুদের খুবই ভালোবাসে। শিশুরা বাসায় এলে সে এমনভাবে নিজের মুখ বন্ধ করে রাখে যে বাচ্চাদের হাতের একটা আঙ্গুলও নাকি তার মুখে ঢুকবে না।’
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও থর্নের পোস্ট করা ভিডিও দেখে বোঝা যাবে ঘটনা সত্য-
মন্তব্য চালু নেই