কুকুর খাওয়ার বিচিত্র উৎসব চীনে

পৃথিবীর বিচিত্র সব সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার, বিচিত্র সব মানুষের খাদ্যভ্যাস। চীনে কুকুরের মাংস তুমুল জনপ্রিয় খাবার। চীনের অধিবাসীরা গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় দিন উদযাপনের লক্ষ্যে কুকুর জবাই ও খাওয়া শুরু করে। দক্ষিণ চীনের ইউলিন শহরে প্রতিবছরই এই কুকুর খাওয়ার উৎসব চলে।

পরিবেশবাদী আন্দোলনকর্মীদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও মহাসমারোহে চলে ‘কুকুর খাওয়া উৎসব’।

বরাবরই দেশটির প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংস্থা একসাথে এতগুলো কুকুর জবাইয়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে থাকলেও সেদিকে থাকেনা কারোই ভ্রুক্ষেপ।

প্রতিবছর ২১ জুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দিনকে সামনে রেখে তারা এই উৎসবের আয়োজন করে। গ্রীস্ম উদযাপনের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে চীনের অনেক অঞ্চলের বাসিন্দারা দেদারছে কুকুর নিধন শুরু করে।

ইয়ুলিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী লিচু দিয়ে কুকুরের মাংসের সঙ্গে মদ হলো গ্রীস্মকালীন উৎসবের মূল আকর্ষণ। শীতের সময় সুস্থ থাকার জন্য প্রতিবছর গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় দিনকে সামনে রেখে কুকুর খাওয়ার উৎসবের আয়োজন করে। তাদের ধারণা কুকুর খেলে শীতের সময় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাদের এই ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।

পরিবেশবাদীরা কুকুর বিক্রির স্থান, কসাইখানা এবং দোকানে গিয়ে প্রচারাভিযান চালায়। দীর্ঘদিন ধরে চালানো এই প্রচারাভিযানের কারণে অবশ্য চীনের অনেক স্থানেই নির্বিচারে কুকুর খাওয়ার প্রতিযোগিতা অনেকটা কমেছে। যে কারণে দেশটির অনেকেই এখন কুকুর পোষার দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে। সুত্রঃ ওয়েবসাইট



মন্তব্য চালু নেই