কী এমন আছে অলিভ অয়েল এ, যা সারাতে পারে স্তন ক্যান্সার?

স্তন ক্যান্সার সারা বিশ্বে মহিলাদের ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারন। বাংলাদেশে নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যু হার ২৬ শতাংশের বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে এখন কম বয়সের নারীদেরও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা।
সাধারণত দেখা যায় লজ্জা বা সংকোচতার কারণে রোগটির ব্যাপারের আক্রান্ত নারী সেটা গোপনই রাখেন। আর এই প্রবণতাটাই মৃত্যুহার বাড়ায়।
স্তন ক্যান্সোরের চিকিৎসা নির্ভর করে স্তন ক্যান্সারের ধরণ, পর্যায় ক্যান্সারের কোষগুলো হরমোণ সংবেদনশীল কিনা তার উপর। অধিকাংশ নারীর স্তন অপারেশনের পাশাপাশি অন্যান্য বাড়তি চিকিৎসাও গ্রহণ করে থাকেন। যেমন: কেমোথেরাপী,হরমোণ থেরাপী অথবা রশ্মি থেরাপী ।
কিন্তু এর বাইরেও প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু পদক্ষেপ নিলে ভালো হতে পারে স্তন ক্যন্সার।
এর মধ্যে একটি আছে অলিভ অয়েলের ব্যবহার। কিন্তু কী আছে এই তেলে যা সারিয়ে তুলতে পারে স্তন ক্যন্সারের মতো জীবনঘাতি রোগ?
অলিভ অয়েলয়ের মধ্যে হাইড্রোক্সিটাইরোসল নামক এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে যা পোস্টমেনোপজাল মহিলাদের স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম।
সম্প্রতি হাউস্টন মেথোডিস্ট ক্যানসার সেন্টারের ব্রেস্ট মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট তেজল পাটেল তার গবেষণায় এমনই তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
তেজল পাটেল জানিয়েছেন, স্তন ঘনত্ব ও স্তন ক্যানসারের মধ্যে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। তার মতে, স্তনের ঘনত্ব এক শতাংশ বৃদ্ধি পেলে তা স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনাকে প্রায় দুই শতাংশ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
অলিভ অয়েল থেকে এমনিতেও হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। তবে স্তন ক্যানসার রোধে এটি কতটা উপযোগী তা দেখার জন্য তেজল মোট ১০০ জন রোগীকে তার পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত করেন।
ওই ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনের মনোপজ এখনও শুরু হয়নি এবং বাকি ৫০ জনের মনোপজ শুরু হয়ে গেছে।
গবেষণার জন্য সকল রোগীকে প্রতিদিন ২৫ মিলিগ্রাম হাইড্রোক্সিটাইরোসল ক্যাপসুল ১২ মাস ধরে নিয়মিত খেতে বলা হয় এবং ৩ মাস অন্তর ডাক্তারি চেকআপ করা হয়।
গবেষকেরা দেখেন হাইড্রোক্সিটাইরোসল স্তনের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। এছাড়াও তারা এই কেমিক্যালের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলিও পর্যবেক্ষণ করেন।
আর এথেকেই তেজল পাটেল সিদ্ধান্ত নেন হাইড্রোক্সিটাইরোসল যেহেতু স্তনের ঘনত্ব কমাতে পারে সেহেতু স্তন ক্যান্সের ঝুঁকিও কমাতে পারবে এই রাসায়নিক বস্তুটি।
আর অলিভ অয়েলে যেহেতু হাইড্রোক্সিটাইরোসল বেশ মাত্রায় আছে সেহেতু এই তেল কমাতে পারে স্তন ক্যান্সের ঝুঁকি। এমনকি আক্রান্ত রোগীর ক্যান্সারও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে অলিভ অয়ের।
মন্তব্য চালু নেই