কী আমার অপরাধ, কেন আমাকে পুঁতে ফেলতে চাইছ তোমরা!
গত সপ্তাহে সিরিয়ার খানেশায়খুন এলাকায় বাশার আলআসাদের নির্দেশে বিষাক্ত রাসায়নিক বোমায় মারা গেছেন বেশ কিছু নিরপরাধ মানুষ, যাদের একটি বড় অংশই শিশু-কিশোর।
ওই আক্রমণের পর সেদিন নড়াচড়া না দেখে এই শিশুটিকেও মৃতদের সারিতে শুইয়ে রাখা হয়। লাশের ক্রমিক নম্বর হিসেবে তার কপালে ২১ নম্বর লেখা হয়। মৃত হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরে তাকে কবরস্থ করার প্রস্তুতি চলছিল।
দাফনের আগে যখন তাকে যখন গোসল দেওয়া হচ্ছিল, তখন অসহায় দৃষ্টিতে এভাবে হঠাৎ চোখ মেলে তাকায় সে। করুণ নয়নে শিশুটি যেন জানতে চাইছে, কী আমার অপরাধ! কেন আমাকে পুঁতে ফেলতে চাইছ তোমরা!
নিষ্ঠুরভাবে শিশুসহ বহু মানুষকে নির্বিচারে হত্যার ঘটনাটি সারা বিশ্বের মানুষকেই নাড়া দিয়েছে।
কাতার প্রবাসী সাংবাদিক তামীম রায়হান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘জীবন ফিরে পেয়ে নরকতুল্য সিরিয়ায় সে এখনও বেঁচে আছে। নিষ্ঠুর পৃথিবীতে প্রাণ ফিরে পাওয়া নিষ্পাপ শিশুটির এই নির্বাক দৃষ্টি যতবার দেখি, ততবার গভীর লজ্জা ও অসহায়ত্বের বেদনায় দ্রবীভূত হই। ’
সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিচালনাকারী সংগঠন ‘সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি (এসএএমএস) জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইদলিব প্রদেশের খান সেখুন অঞ্চলে ওই হামলায় ১১ শিশুসহ কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫৫০ জনের বেশি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ১০০ জনে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই